প্রতিবেদন : অতিমারি ও লকডাউনের সময়ও রাজ্যে মহিলা ও শিশুদের অপুষ্টি আটকাতে সক্রিয় ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। স্কুল বন্ধ থাকলেও বাড়িতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মিড ডে মিলের রসদ। একইরকমভাবে গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদেরও নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারের জোগান অব্যাহত রাখা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এই প্রকল্পে কোনওরকম ফাঁকফোকর রাখতে রাজি নয় সরকার। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখন থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং স্কুলের মিড ডে মিল প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন চাল বা ফর্টিফাইড রাইস সরবরাহ করা হবে। সাধারণ চালের সঙ্গে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, জিঙ্ক, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মিশিয়ে ফর্টিফাইড রাইস তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন : তিন মাস আগলে দেহ
জানা গিয়েছে, আগামী মাস থেকেই এই ধরনের চাল সরবরাহ শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে এফসিআই-এর কাছ থেকে ফর্টিফাইড রাইস সংগ্রহ করবে রাজ্য সরকার। তবে আগামী দিনে রাজ্যের রাইসমিলগুলির কাছ থেকেই তা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি এফসিআই এবং রাজ্যের বিভিন্ন রাইস মিলের মালিকদের সঙ্গে খাদ্য দফতর বৈঠক করে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সাধারণ চালের পরিবর্তে বিশেষ পুষ্টিগুণসম্পন্ন চাল সরবরাহ করার জন্য মিলগুলিকে চালের দামে কেজিপ্রতি অতিরিক্ত ৭৩ পয়সা করে দেওয়া হবে। এজন্য সরকারের সাড়ে তিন কোটি টাকা বাড়তি খরচ হবে। রাজ্যের নারী শিশু ও পরিবার কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নারী ও শিশুদের পুষ্টি প্রকল্পে রাজ্যে উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় ৭৩ লক্ষ।