বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম (Haji Nurul Islam) প্রয়াত। বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বুধবার সকাল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর দুপুর ১ টা বেজে ১০ মিনিট নাগাদ বারাসতের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন,” আমার শ্রদ্ধেয় সহকর্মী, বসিরহাটের সাংসদ হাজি এসকে নুরুল ইসলামের প্রয়াণে আমি দুঃখিত। তিনি প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার একজন সমাজসেবক ছিলেন। এবং তিনি অনগ্রসর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। বসিরহাটের মানুষ তাঁর নেতৃত্বের অভাব অনুভব করবে। আমি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।”
একইসঙ্গে শোকপ্রকাশ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বসিরহাটের আমাদের লোকসভা সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের প্রয়াণের খবর শুনে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। তিনি মা, মাটি, মানুষের একজন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। তাঁর শেষ দিনগুলিতেও মানুষের সেবা এবং তাদের মঙ্গল রক্ষার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তার পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি।”
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে হাজি নুরুল ইসলামের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে জানানো হয়েছে, “দলের দীর্ঘদিনের সদস্য এবং বসিরহাটের সাংসদ হাজি শেখ নুরুল ইসলামের প্রয়াণে আমরা শোকতপ্ত। আমরা হাজি শেখ নুরুল ইসলামের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁর পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুন-হজযাত্রার নামে ভিখারি পাঠাচ্ছে! পাকিস্তানকে কড়া চিঠি সৌদির
ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম। অসুস্থ শরীর নিয়েই ভোটে লড়েছেন এবং জিতেওছেন। কিন্তু আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা হল না। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। রেখে গেলেন তার স্ত্রী রসিদা বেগম ও ৪ সন্তান কে।
১১ নভেম্বর ১৯৬৩ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খোরকি সিনিয়র মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। ছোট থেকেই রাজনীতি ও সমাজসেবার দিকে তার ঝোঁক ছিলো। রাজনীতি আঙিনায় এসে ২০০৯ সালে বসিরহাট লোকসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর, ২০১৪ এবং ২০২১ পরপর দু’বার তিনি হাড়োয়া বিধানসভা থেকে জয়ী হন। এবং ২০২৪ সালে আবার তিনি বসিরহাট লোকসভা থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। তার এই আকাল প্রয়াণে শোকাহত গোটা তৃণমূল কংগ্রেসের পরিবার।