হরিয়ানার (Haryana) বিধানসভা নির্বাচন আগামী ৫ই অক্টোবর। কিন্তু এর মধ্যেই দেশজুড়ে বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে রীতিমত বিপাকে বিজেপি সরকার। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গত দশ বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও বেকারত্বের সমস্যাই যে ভোটের প্রধান বিষয় হয়ে গিয়েছে সেই বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। কিছুদিন আগেও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, হরিয়ানাতে বেকারত্বের হার আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। কিন্তু এর মাঝেই ঝাড়ুদারের চাকরির জন্য ডিগ্রিধারীদের আবেদন প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস হরিয়ানার দশটির মধ্যে পাঁচটি আসন জিতে যায়। সেই থেকেই বিজেপি বুঝতে পারে বিধানসভা ভোটে রাজ্যের বেকারত্ব মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। মান বাঁচাতে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নায়ব সিংহ সাইনি ঘোষণা করেছিলেন, বিধানসভা ভোটের আগেই ৫০ হাজার সরকারি শূন্যপদ পূরণ করা হবে। এরপরেই দেখা গেল মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতনের ঝাডুদারের চাকরির জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার স্নাতক এবং ৬ হাজারের বেশি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। এর থেকেই প্রমাণিত হয়ে যায় এই রাজ্যে বেকারত্বের সমস্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন-এবার পুজোয় রাজস্থানে
উল্লেখ্য, হরিয়ানায় বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই বছরের প্রথম তিন মাসে কিছুটা কমলেও এপ্রিল-জুন মাসে ফের বেড়েছে। মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনায় বেশি। হরিয়ানায় বেকারত্বের হার ৩৪ শতাংশ। রাজ্য সরকারের ২ লক্ষের বেশি শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। কিন্তু সেখানে সরকার ঠিকা কর্মী নিয়োগ করে কাজ চালিয়ে নিচে যদিও তাঁরাও ন্যূনতম বেতন পাচ্ছেন না। উল্টে সেখানে দেখা যায় হরিয়ানা সরকার রাজ্যের ১০ হাজার ছেলেকে ইজরায়েলে শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন-আই লিগ থ্রি-এ আজ সামনে কার্বি, ক্লান্তিই চিন্তা ডায়মন্ড হারবারের
প্রসঙ্গত, দেশের বেকারত্ব হার নিয়ে ‘ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস’-র তরফে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে দেখা যায় সার্বিকভাবে ভারতে বেকারত্বের হার ১০.২ শতাংশ ছিল। মহিলাদের ক্ষেত্রে ছিল ১১ শতাংশ। পুরুষদের বেকারত্বের হার ৯.৮ শতাংশ ছিল। কিন্তু ২০২২-২৩ সালে সার্বিকভাবে বেকারত্বের হার ছিল ১০ শতাংশ। গত এক বছরে দেশের মধ্যে বেকারত্বের হার যে বেড়েছে সেই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।