ফের একবার রাজ্যের পরিস্থিতির তোয়াক্কা না করেই জল ছাড়ল ডিভিসি (DVC)। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে পাঞ্চেত, মাইথন ও দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে নতুন করে জল ছাড়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, এর ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যাপরিস্থিতি আর কঠিন আকার নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আরও জল ছাড়তে পারে ডিভিসি। ভারী বৃষ্টির ফলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ডিভিসি জল ছাড়া শুরু করে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের নীচে। এই অবস্থায় দক্ষিণবঙ্গে নতুন করে নিম্নচাপ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-পুজোর আগেই ভারতে ঢুকল টন টন পদ্মার ইলিশ
আজ, বিধাননগরে ডিভিসির দফতরের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ডিভিসির এহেন আচরণের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ডিভিসি রাজ্যের বন্যা ত্রাণ তহবিলে কর্মচারীদের এক দিনের বেতন দান করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সেই দান পশ্চিমবঙ্গ সরকার গ্রহণ করবে না বলেই স্পষ্ট জানান তিনি। তবে ডিভিসির কোনও কর্মচারী বন্যাদুর্গতদের জন্য দান করতে চাইলে সেই দান গ্রহণ করা হবে। এদিন তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ডিভিসির কাছ থেকে কোনও সাহায্য আমরা নেব না। ডিভিসিতে আমাদের ইউনিয়ন আছে। ডিভিসির কর্মচারীদের বেতন কাটতে দেবে না। বন্যা তো হয়েই গিয়েছে। মানুষ তো এখন জলের তলায়। এখন টাকা দিয়ে কী হবে? ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিভিসি মোট ৮ লক্ষ ২৭ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হল, জল ছাড়ার আগে মাত্র তিন ঘণ্টা সময় দিয়েছে। সেটাও মধ্যরাতে। মানুষ যেই সময় ঘুমোয় তখন কোনমতেই উদ্ধারকাজ সম্ভব নয়। ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের রাজ্যে মানুষ মারা যাননি। আগে থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া গিয়েছিল। এই বন্যায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ডিভিসি আমাদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করে না। পাঞ্চেত এবং মাইথনের ধারণক্ষমতা কমে গিয়েছে। সেই সংস্কারের দিকে কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছেন না। এখন বড় বড় প্ল্যান্ট তৈরি করাই ওঁদের লক্ষ্য।’’