তৃণমূলের (Trinamool) ২ সাংসদ পেতে চলেছেন সংসদের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের (Chairman) পদ। রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হতে চলেছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ। বাণিজ্য মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সেন হতে চলেছেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। দুজনেই তাঁদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করবেন বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন-‘গুজরাট মডেল’, মোদী রাজ্যে দশ মাসের শিশুকন্যাকে ধ.র্ষণ, নিন্দায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস
এর আগে অনেকবারই সংখ্যার জোরে সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলিতে বিরোধীদের রাখেনি মোদি সরকার। তবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কোনও মতে সরকার গঠন করেছে গেরুয়া শিবির। সংখ্যার জোরে প্রথমে লোকসভার স্পিকার ও পরে ডেপুটি স্পিকারের পদ দাবি করে বিরোধীরা। সেই দাবি কার্যকর না হলেও সংখ্যার বলে শাসকদলের উপর চাপ বজায় রাখছে অবিজেপি দলগুলি। আর অনেক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির।
আরও পড়ুন-”ডিভিসির ‘দান’ নেবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার” ক্ষোভ উগরে দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
তৃতীয় মোদি সরকার গঠন হওয়ার পরে কেটে গিয়েছে ১০০ দিনের বেশি সময়। এর মধ্যে গঠন করা হয়নি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এই বিষয়ে আগেই নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তৃণমূল। পুরো বিষয়টি নিয়ে মোদি সরকার অহেতুক টালবাহানা করছে এবং লঙ্ঘিত হচ্ছে সংসদীয় পরম্পরা, এই যুক্তি তুলে রাজ্যসভার নেতা, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান৷ চিঠি হাতে পাওয়ার পরেও সরকারের তরফে তৃণমূলের কোনও বর্ষীয়ান নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে আলোচনা করা হয়নি৷ এই আবহে তৃণমূলের তরফে সাফ জানানো হয়, তারা কোনও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে লালায়িত নয়। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ৪১। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ তৃণমূলকে দেওয়া হলে সংসদীয় রীতি মানা হবে, সাফ জানানো হয়েছিল৷ তৃণমূলের এই অনড় অবস্থানের কাছে নতিস্বীকার করেই শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ দুটি তুলে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের হাতে৷
আরও পড়ুন-পুজোর আগেই ভারতে ঢুকল টন টন পদ্মার ইলিশ
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রী কিরেন রিজিজু তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে দেখা করেন। স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হবে কীর্তি আজাদকে। বাণিজ্য মন্ত্ররের স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সেন হবেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের।
আরও পড়ুন-বিধবাদের নিয়ে কুকথা, পাটনা হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
দোলা সেন তৃণমূলের পুরনো সৈনিক। দীর্ঘদিন ধরেই দলের হয়ে সংসদে লড়াই করেছেন তিনি। আর কীর্তি আজাদ এক সময় বিজেপিতেই ছিল। পরে পদ্ম ছেড়ে হাত ধরেই। কিন্তু কংগ্রেসর সঙ্গে মধুচন্দ্রিমাও শেষ হয়। ২০২১-এর নভেম্বরে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল। দিলীপ ঘোষের মতো বিজেপির হেভিওয়েটকে হারিয়ে সাংসদ হন প্রাক্তন ক্রিকেটর কীর্তি।