প্রতিবেদন : স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক বিষয় নিয়ে নবান্ন সভাঘরে আজ বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে মেগা বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, হাসপাতালের সুপার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, সব হাসপাতালের সিভিল ইলেক্ট্রিক্যাল, আইটি বিভাগের কর্মীরাও ছিলেন এই মেগা বৈঠকে। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরাও আছেন বৈঠকে। জরুরি ভিত্তিতে এই বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের ২ সাংসদ পাচ্ছেন সংসদের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ
সকলের সঙ্গে আলোচনার পর বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পর্যালোচনা হয় রাত্তিরের সাথী প্রকল্প নিয়েও।
উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের পর রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালের নিরাপত্তা পরিকাঠামো উন্নয়নে একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে। এর বাস্তবায়নের জন্য শীঘ্রই অর্থের সংস্থান করা হবে বলেও অশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই প্রকল্পের আওতায় কর্মস্থলে মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচালয় ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। মহিলা কর্মজীবীদের নিরাপত্তার জন্য রাতে কর্মস্থলে রাখা হবে বিশেষ মহিলা স্বেচ্ছাসেবক। প্রতিটি কর্মস্থল সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা ধরে চলবে বিশেষ নজরদারি। মহিলা কর্মজীবীদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু হচ্ছে। আপাতত ১০০ ও ১১২ নম্বরে সাহায্য চেয়ে ফোন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজগুলিতে ঢোকা প্রত্যেকেরই শ্বাস পরীক্ষা করা হবে। অর্থাৎ কেউ মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন কিনা, তা দেখা হবে। মহিলা কর্মজীবীদের যৌন নির্যাতন রুখতে প্রতিটি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ-সহ বিভিন্ন অফিসে বিশাখা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি রাজ্যের।