কানপুর, ২৬ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশ কোচ চন্দিকা হাতুরুসিংঘে একটা ধারণা নিয়ে আছেন। ভারতের (Team India) হাতে এত ভাল সিম আক্রমণ আছে যে তারা টার্নার বানাবে না।
গ্রিন পার্কে গত দুদিন ধরে সবার শেষে প্র্যাকটিস শেষ করে বেরিয়ে আসতে দেখা গেল লোকাল বয় কুলদীপ যাদবকে। নেটে ওভারের পর ওভার হাত ঘোরানোতে এটা স্পষ্ট, কোথাও তিনি ঘরের মাঠে খেলার আশ্বাস পেয়েছেন। আর কুলদীপ দলে এলে সিরাজকে বসতে হবে। আকাশ দীপ চেন্নাইতে দলের আস্থা অর্জন করেছেন। তাহলে যা দাঁড়াল, বাংলাদেশ কোচের বদ্ধমূল ধারণায় সম্ভবত জল পড়ছে গ্রিন পার্কে। টার্নারের দিকেই ঝুঁকে রয়েছে এই উইকেট। তাই কুলদীপ ও তিন স্পিনার।
উত্তর ভারতের (Team India) এই অংশে সকালের দিকে একটা হালকা শিরশিরানি ভাব থাকে এই সময়। সিমাররা নতুন বলে সুবিধা পান। তবে লো স্পিনিং ট্র্যাকে যতই জলটল পড়ুক, বল তৃতীয় দিন থেকে ঘুরবে। স্থানীয় গ্রাউন্ডসম্যান অবশ্য দাবি করেছেন এটা চিপকের মতো স্পোর্টিং উইকেট হবে। কিন্তু এখানে লাল মাটি নেই। ব্ল্যাক সয়েলের উইকেট। দুম করে গ্রিন পার্কের উইকেটের চরিত্র বদলানো যাবে না। এই উইকেট চিরকাল স্পিনারদের।
চিপকের মতোই পাতার পর পাতা ইতিহাস রয়েছে গ্রিন পার্কে। তা সে জেসু প্যাটেল হোক বা অনিল কুম্বলে। এই মাঠে ম্যালকম মার্শালকে পিটিয়ে ছাতু করেছিলেন সানি গাভাসকর। এটা তাঁর শ্বশুরবাড়ির শহর। মার্শাল আগের কয়েকটি টেস্টে সানিকে ভুগিয়েছিলেন। তা কোনও এক অর্বাচীন প্র্যাকটিসের সময় গাভাসকরকে টিজ করেছিলেন, সানি, তেরে পিছে মার্শাল আ রহা হ্যায়! ব্যাস, সব রাগ পরেরদিন ম্যাচে ঢেলে দিয়েছিলেন সানি। অল্পের জন্য শুধু লঞ্চের আগে সেঞ্চুরিটা হয়নি।
অতটা না হলেও বিরাট কোহলির অবস্থাও ভাল নয়। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে তিনি ৬ আর ১৭ করেছিলেন। সমস্যা আরও বেশি কানপুর বলে। এখানে বল ঘুরবে। বিরাট বারবার এই স্পিনের সামনে মুশকিলে পড়ছেন। বাংলাদেশের ঝুলিতে মেহেদি, তাইজুল ও শাকিবের মতো স্পিনার রয়েছে। কোচ বলে দিয়েছেন তাঁর কাছে শাকিবের চোট নিয়ে কোনও খবর নেই। তাহলে সব উৎকণ্ঠা উড়িয়ে শাকিব কি গ্রিন পার্কে নামছেন? হয়তো নামবেন। তবে তার আগে নিজের অবসর নিয়ে বৃহস্পতিবার বোমা ফাটিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-নবান্নে স্বাস্থ্য বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, একাধিক সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ
০-১ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য সবথেকে বড় সমস্যা তাদের ব্যাটিং। অধিনায়ক শান্ত ছাড়া কেউ ভারতীয় বোলিংয়ের মোকাবিলা করতে পারেননি। চেন্নাইয়ে বুমরা, আকাশ দীপ ধাক্কা দিয়েছিলেন। তারপর বাকিটা ছিল অশ্বিন ও জাদেজার হাতে। অশ্বিন যে কানপুরেও ছড়ি ঘোরাবেন, সেটা বলে দেওয়া যায়। এই দুজনের সঙ্গে কুলদীপ যুক্ত হলে শান্তদের বিপদ বাড়বে। কুলদীপের থেকে এই মাঠ ভাল আর কেউ চেনে না। ড্রিফট আর ফ্লাইটে তিনি মুশকিলে ফেলবেনই।
তবে বাস্তব এটাও যে, চেন্নাইয়ে ২৮০ রানে জিতলেও দুই মহারথী রোহিত ও বিরাটের রান না পাওয়া গৌতম গম্ভীরকে চিন্তায় ফেলেছে। বিশেষ করে বিরাট। ২-০ সিরিজ জয়ের মতোই বিরাটের ব্যাটে রান আসাটা খুব জরুরি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পাঁচ টেস্টের সিরিজ যখন মাস দুয়েক পরেই। এদিকে, কানপুরে টেস্টের প্রথম দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।