প্রতিবেদন : চলতি আইএসএলে এখনও জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। প্রথম দু’টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে বাইরের মাঠে। বেঙ্গালুরু এফসি এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচেই হেরেছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল (East Bengal)। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই এবার ঘরের মাঠে। শুক্রবার যুবভারতীতে সামনে এফসি গোয়া। মানোলো মার্কুয়েজের দলও শুরুটা ভাল করেনি। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে কি ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক আটকে জয়ের সরণিতে ফিরতে পারবে?
গোয়ার কাছে হারলে কুয়াদ্রাতকে সরানোর দাবিও জোরাল হবে। কর্তারা আপাতত কোচের উপর আস্থা রাখলেও লাগাতার হারতে থাকলে বিকল্প রাস্তায় হাঁটতেই হবে তাঁদের। আর্মান্দো সাদিকুদের বিরুদ্ধে নামার আগে ইস্টবেঙ্গলের স্বস্তি যদি ঘরের মাঠে প্রত্যাবর্তন হয়, তাহলে অস্বস্তি অনেক। প্রথমত, দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস চোটের জন্যে এই ম্যাচে নেই। ম্যাচের আগে কোচ কুয়াদ্রাত বলে দিলেন, ‘‘দিমির পেশির চোট। ঝুঁকি এড়াতে ওকে আমরা এই ম্যাচে বিশ্রাম দেব।’’ অস্বস্তি আরও বেড়েছে দলের সেরা বিদেশি মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপোর ডেঙ্গি ধরা পড়ায়। জ্বর কমলেও শারীরিক দুর্বলতার কারণে গত তিন দিন অনুশীলনে নামতে পারেননি স্প্যানিশ মিডিও। কুয়াদ্রাত বললেন, ‘‘সাউলকে শুক্রবার দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন- ঝাড়গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত চারজনের পরিবারকে রাজ্যের আর্থিক সাহায্য
টানা ম্যাচ হেরে চাপ যে বাড়ছে তা স্বীকার করে নিয়ে কুয়াদ্রাত বললেন, ‘‘শুরুটা ভাল হয়নি। চাপ তো থাকবেই। তাছাড়া সব ম্যাচের আগেই চাপ থাকে। এই ম্যাচের আগেও রয়েছে। আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। ভাল মানের বিদেশির পাশাপাশি বেশ কিছু তরুণ ভারতীয় ফুটবলার রয়েছে দলে। সকলের মধ্যে বোঝাপড়াটা প্রয়োজন। দলে কয়েকজনের চোট রয়েছে। গোয়ার বিরুদ্ধে ফিট কতজন ফুটবলারকে পাব, সেটা ম্যাচের আগে বুঝতে পারব।’’ ফুটবলার মাদিহ তালাল বললেন, ‘‘আমাদের দলটা নতুন। মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। তবে গোয়ার বিরুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’’