প্রতিবেদন: বিলকিস বানু মামলায় (Bilkis Bano Case) সুপ্রিম কোর্টে আবার জোড়াল ধাক্কা খেল মোদিরাজ্যের ডবল ই়ঞ্জিন সরকার। রাজ্যের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দিল বিলকিস মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।
লক্ষণীয়, গত জানুয়ারিতে বিলকিসের ধর্ষকদের জামিন খারিজ করে দিয়ে জেলে ফিরতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে গুজরাত সরকারকেও তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। এরই প্রেক্ষিত রিভিউ পিটিশন দাখিল করে গুজরাত সরকার। তাঁদের বক্তব্য, শীর্ষ আদালতের রায় রাজ্যের বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য করা হয়েছে। তা প্রত্যাহার করা হোওক। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ভিভি নাগারত্ন এবং উজ্জ্বল ভূঁঞার ব্ঞ্চে পেশ করা হয় পিটিশনটি। কিন্তু আদালতের বক্তব্য, রিভিউ পিটিশন খুব ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কোনও ত্রুটি ছিল না। সেই কারণে এটি নতুন করে বিবেচনা নিস্প্রয়োজন। এই রিভিউ পিটিশনের প্রকৃত অর্থে কোনও ভিত্তি নেই। তাই এটি খারিজ করা হল।
আরও পড়ুন- অমানবিক অত্যাচার, তিলজলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও খুনে ফাঁসির সাজা ঘোষণা
লক্ষণীয়, বিলকিস বানুকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজীবন কারদণ্ড হয় ১১ জনের। ২০১৯ সালে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয় একজন ধর্ষক। তার আবেদন ছিল, মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দেওয়া হোক তাকে। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, গুজরাত সরকার মনে করলে মুক্তি দিতে পারে বিলকিসের ধর্ষকদের। তারই ভিত্তিতে ২০২২ সালে ১৫ই অগাস্ট মুক্তি পায় ১১ ধর্ষক। প্রতিবাদে উত্তাল হয় গোটা দেশ। রায় খতিয়ে দেখার জন্য ফের আবেদন জানানো হয় শীর্ষ আদালতে। ৮ জানুয়ারি নিজের রায় খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ১৪ দিনের মধ্যেই ফের জেলে ফিরে আসতে হবে ১১ সাজা প্রাপ্তকে। এই রায় ঘোষণার সময় গুজরাত সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সুপ্রম কোর্ট। এর পরেই গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, নেতিবাচক মন্তব্য প্রত্যাহার করুক শীর্ষ আদালত। সেই আবেদনই এবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।