অনুরাধা রায়: চা-শিল্পকে (Tea industry) ধ্বংস করতে নতুন ছক কষতে শুরু করেছে কেন্দ্র। চা-তোলা শেষ করার ক্ষেত্রে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময় ধার্য রয়েছে। অথচ সেই নিয়ম ভেঙে অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিরাট আঘাত আনছে কেন্দ্র। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে চা তোলা শেষ করতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রের টি-বোর্ড সেই সময় ৩০ নভেম্বর এগিয়ে নিয়ে এসেছে। একমাস আগে চা তোলা শেষ করলে উৎপাদন হবে অনেকাটাই কম। এর পুরো প্রভাব পড়বে চা-শিল্পের ওপর। উত্তরের অর্থনীতি বেশির ভাগটাই চা-শিল্পের (Tea industry) ওপর নির্ভর করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বাজেটে চা শিল্পের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে একাধিক ঘোষণা করেছেন। চা-শ্রমিকদের উন্নয়নে রাজ্য বিরাট ভূমিকা পালন করেছে, অথচ কেন্দ্রের কাছে ব্রাত্যই থেকে গিয়েছে চা-বলয়। সম্প্রতি টি-বোর্ডের তরফে জারি করা সার্কুলার বাগানে একটি বড় ধাক্কা। এই প্রসঙ্গে আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা (সমতল)-এর সভাপতি নির্জল দে বলেন, বিজেপির সাংসদ শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাস দাবি করছেন অথচ তিনিই টি-বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে শিল্প ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ব্রিটিশ আমল থেকে চা তোলা শেষ করার সময় ডিসেম্বর মাস। এবারই কেন্দ্রের টি-বোর্ড সেই নিয়ম ভাঙল। উত্তরের অর্থনীতি নিয়েও বিরাট চিন্তা। এরই সঙ্গে এতগুলি শ্রমিকের ভবিষ্যতও রয়ে গেল প্রশ্নচিহ্নের মুখে। নিরিহ চা-শ্রমিকেরা জিটিলতা বোঝেন না। তাঁদের প্রলোভন দেখিয়ে ভুল পথে চালিত করে বিজেপির নেতারা নিজেরা ফায়দা তুলছেন। অথচ বোর্ডের তরফে নির্দিষ্ট কোনও বৈঠক করে শ্রমিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে না। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন নির্জল দে। তিনি বলেন, টি-বোর্ডের এই খামখেয়ালিপয়নায় উত্তরের অর্থনীতির যে বিপুল ক্ষতি হবে তার দায় কেন্দ্র নেবে তো?
আরও পড়ুন- পয়সার জন্য কোর্টে চলে যান! বিকাশকে তুলোধনা মুখ্যমন্ত্রীর