সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : পুজো এখনও সপ্তাহ দুই দেরি। কিন্তু বাঁকুড়ার প্রাচীন মল্ল রাজবাড়ির পুজো (Bishnupur Durga Puja) শুরু হয়ে গেল প্রাচীন রীতি মেনে তিন তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার। স্থানীয় মাধব সায়েরে স্নান করিয়ে বড় ঠাকুরানীকে নিয়ে আসা হল মন্দিরে। দেবীর আগমনের নির্ঘন্ট সূচিত হল মুহুর্মুহু কামানের শব্দে। ১৯তম মল্লরাজ জগৎমল্ল ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে প্রাচীন মল্ল রাজধানী প্রদ্যুম্নপুর থেকে শিকারে বেরিয়ে পথ ভুলে বিষ্ণুপুরে আসেন। আজ যেখানে দেবী মৃন্ময়ীর মন্দির ঠিক সেখানেই বিভিন্ন দৈব ঘটনার সম্মুখীন হয়ে দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরে প্রদ্যুম্নপুর থেকে রাজধানী সরে আসে বিষ্ণুপুরে। সেখানে মন্দির প্রতিষ্ঠার পর মহাসমারোহে দেবীর পুজো শুরু করেন জগৎমল্ল। কথিত, প্রথম দিকে শাক্ত মতে পুজো শুরু হয়। ফলে চালু ছিল বলিদান প্রথা। নরবলির প্রথাও নাকি ছিল। রাজ পরিবার বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হলে বলি প্রথা বন্ধ হয়ে শব্দকে ব্রহ্মজ্ঞান করে শুরু হয় তোপধ্বনি প্রথা। আজও প্রাচীন রীতি মেনে জিতাষ্টমীর পরের দিন গোপাল সায়েরের পাড়ে গর্জে উঠল কামান। সেখানে একপ্রস্থ পুজোপাঠ সেরে দেবীর এক রূপ বড় ঠাকুরানিকে নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। এরপর মান চতুর্থীতে মন্দিরে আনা হবে মেজ ঠাকুরানিকে। সবশেষে ষষ্ঠীর দিন আসবেন ছোট ঠাকুরানি। অষ্টমীর দিন মন্দিরে পূজিতা হবেন খচ্চরবাহিনী বা মহামারী। কিছুটা ম্লান হলেও ভাটা পড়েনি মল্লগড় বিষ্ণুপুরের (Bishnupur Durga Puja) মানুষের আবেগে।
আরও পড়ুন- হোয়াটসঅ্যাপেই জানানো যাবে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অভিযোগ, মেটানো যাবে বিল! রইল নম্বর