পৈশাচিক ঘটনা। লজ্জা দেবে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও। ঘটনাস্থল সেই যোগীরাজ্য, সেই হাথরাস। এবারে অবশ্য কোনও নাবালিকাকে ধর্ষণ কিংবা নৃশংস খুনের ঘটনা নয়, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসের শিকার হল দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্র। স্কুলের মধ্যেই বলি দেওয়া হল দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে। নেপথ্যে সেই কালাজাদু! স্কুলের নামডাক, যশ, প্রতিপত্তির লোভে শিশুটিকে নিজের হাতে খুন করল স্কুলের ডিরেক্টর। আর এই জঘন্য কাজে দাঁড়িয়ে থেকে মদত দিল স্কুলের শিক্ষকরাই।
হাড়হিম করা এই ঘটনার সাক্ষী হল রাসগাওয়ান এলাকার একটি বেসরকারি স্কুল। সেই স্কুলেরই হস্টেলের আবাসিক ছিল ওই শিশুপড়ুয়া। এই ঘটনার খবর উল্কাগতিতে ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্য জুড়ে। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। সকলেই ধিক্কার জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে। অভিযোগ স্পষ্ট, যোগী প্রশাসনের (Uttar Pradesh) অপদার্থতার জন্য সে-রাজ্যে শুধুমাত্র একের পর এক নাবালিকা যৌননির্যাতনের শিকার হচ্ছেন না, এবার অন্ধ কুসংস্কারের বশে স্কুল হোস্টেলের মধ্যেই বলি দেওয়া হল দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে। নাবালক-নাবালিকাদের নিরাপত্তা তা হলে কোথায়? জনরোষের চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত অবশ্য স্কুলের ডিরেক্টর-সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্প দেশের নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা নেবে! বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের হোস্টেলেই থাকত ওই ছাত্র। সোমবার তার অভিভাবককে স্কুল থেকে ফোন করে জানানো হয় ওই নাবালক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাড়ির লোকেরা দ্রুত ছুটে যান স্কুলে। তাঁদের বলা হয়, ডিরেক্টর গাড়ি করে পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরে ডিরেক্টরের গাড়িতেই পাওয়া যায় শিশুটির নিষ্প্রাণ দেহ।