সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়-সমতল। ধসে বন্ধ একাধিক রাস্তা। এরই মধ্যে মরশুমের প্রথম তুষারপাত হল উত্তর সিকিমে (Sikkim)। বিশ্ব পর্যটন দিবসের দিন সাদা বরফের চাদরে উত্তর সিকিম সাজলেও তা দেখতে পেলেন না পর্যটকেরা, কারণ ধসের কারণে বন্ধ পাহাড়ের রাস্তা। শুক্রবার ভোর সাড়ে পঁচটা থেকে সিকিমে তুষারপাত শুরু হয়। উত্তর সিকিমের ছাঙ্গু এবং চোপ্তা ভ্যালি-সহ লাচেন ঢেকে যায় বরফের আস্তরণে। এদিকে, প্রবল বর্ষণের জেরে বিপজ্জনক পরিস্থিতি পাহাড়ে। ধসের জেরে বিচ্ছিন্ন রাস্তা। মিরিকে থার্বু এলাকায় ধসের জেরে ভেঙে পড়ে একটি বাড়ি। একাধিক জায়গায় ধসের পাশাপাশি বিরিকদাড়া, শ্বেতিঝোরার মতো এলাকাগুলিতে পাহাড় থেকে বোল্ডার গড়িয়ে পড়ায় নতুন করে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এছাড়াও, মিরিক রোড, দুধিয়া-পানিঘাটা, দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখরি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নামায় রাস্তা বন্ধ। কালিম্পংয়ে একাধিক জায়গায় ধস নামার পাশাপাশি ধসে বিদ্যুতের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্রাম তো বটেই শহরের একাধিক জায়গায় বিদুৎ নেই। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। মহানন্দা নদীর জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, যার ফলে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির মহানন্দা ব্যারেজের বেশ কয়েকটি লক গেট খুলে দিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দাদের সতর্ক করতে চলেছে মাইকিং। শিলিগুড়ির মহানন্দা নদীর জল ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরনিগমের তরফে নেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব জানান, কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার দল প্রস্তুত রয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।