দল-মত-রং না দেখেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। স্যোশাল মিডিয়ায় জানতে পেরে, দরিদ্র দম্পতির শিশুপুত্রে চিকিৎসার সব ভার নিয়ে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন তিনি। এবার এক বৃহন্নলার আবেদনে এক মানসিক ভারসাম্যহীন গর্ভবতী মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসার সব বন্দোবস্ত করলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, মহিলা ও তাঁর নবজাতকের থাকার ব্যবস্থাও করে দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
ঘটনা বজবজ স্টেশনের। সেখানে বেশ কিছুদিন ধরেই এক অন্তঃসত্ত্বা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা ঘুরতে দেখেন নিত্যযাত্রীরা। ওই চত্বরে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ঝুপড়িতেই থাকতেন ওই মহিলা ও তাঁর মা। ভিক্ষা করেই দিন গুজরান হত তাঁদের। বজবজ-শিয়ালদহ শাখায় ভিক্ষুজীবী বৃহন্নলা কুণাল দলুই ওই ভারসাম্যহীন মহিলাকে দেখতে প্রতিদিনই। এদিন তিনি দেখেন স্টেশন চত্বরেই যন্ত্রণার ছটফট করছেন এই অন্তঃসত্ত্বা। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে স্থানীয় বজবজ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কৌশিক রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কুণাল। কিন্তু ওই মহিলার পরিচয় পত্র না থাকায় জটিলতা দেখা দেয়। কৌশিক যোগাযোগ করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসে। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা হয়। বৃহন্নলার পরিচয় পত্রেই বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি হন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। পরে তাঁকে বজবজ পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর চিকিৎসার সব খরচ বহন করেন অভিষেক।
আরও পড়ুন-বিধান মার্কেটে বিধ্বংসী আগুন, পরিদর্শনে মেয়র
শুধু তাই নয়, অভিষেকের উদ্যোগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে মা-শিশু ও ওই মহিলার মায়ের থাকার জন্য একটি ঘরেরও ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার কথা নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন গর্ভবতী মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, যিনি অস্ত্রোপচার করাতে না পেরে কষ্ট পাচ্ছিলেন।
তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করেন এবং তাঁর বাসস্থানের ব্যবস্থা করেন।
জনগণের সেবা করাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান উদ্দেশ্য!”