প্রতিবেদন : দক্ষিণের মতো বন্যা বিপর্যয় উত্তরেও। পাহাড়-সহ একাধিক জেলা জলমগ্ন। প্রায় সবক’টি নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। জেলা প্রশাসন সাধ্যমতো দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবার গোটা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আজ, রবিবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে তিনি পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। দেবেন একাধিক নির্দেশ।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ইতিমধ্যেই দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ত্রাণ। তবুও সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে নিজে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। লাগাতার বৃষ্টি এবং ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণের জেলাগুলিতে, বিশেষ করে মেদিনীপুরের একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানেও একহাঁটু জল, দুর্যোগ উপেক্ষা করে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার উত্তরে কোথাও জারি হয়েছে লাল, কোথাও হলুদ সতর্কতা। তিস্তা, মহানন্দা ফুঁসছে। ধসে বন্ধ সড়ক, মিরিকে বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দার্জিলিংও। প্রশাসনের কাজ, আরও কী করা উচিত এসব সরেজমিনে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, উত্তরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সোমবারই ফিরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। উল্লেখ্য, মালদহের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পৌঁছেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিকে, ডিভিসির ছাড়া জলে আবার নতুন করে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে পাঁশকুড়া, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা-সহ মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায়। বন্যাকবলিত ওই এলাকাগুলিতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পৌঁছে গিয়েছে প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন-ভ্রমণের উদযাপনে
দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ত্রাণ। শিবিরে গিয়েও দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিনিধিরা। ডিভিসির ছাড়া জলে দক্ষিণের ম্যান মেড বন্যায় দিন দিন খারাপ হচ্ছে দক্ষিণের একাধিক জেলার পরিস্থিতি। পুজোর আগে ডিভিসির অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে সর্বহারা হয়েছেন বহু মানুষ। রাজ্য একমাত্র তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুর্যোগ মাথায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে, কোথাও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিনিধি দল পৌঁছে গিয়েছে। উত্তরের বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদেরও ভরসা একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই পুরো পরিস্থিতি দেখতে এবং মানুষের খোঁজ নিতেই উত্তরে যাচ্ছেন তিনি।