দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: অষ্টমী-নবমীতে বোয়াল মাছ দিয়ে হয় মায়ের ভোগ, দশমীতে পান্তা ভাতের সঙ্গে থাকে আত্রেয়ী নদীর রাইখোর মাছ। প্রায় পাঁচশো বছর পুরনো গৌরী পাল বাড়ির পুজোর খ্যাতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাচীন দুর্গাপূজাগুলির মধ্যে বালুরঘাটের কংগ্রেস পাড়ার এলাকার গৌরী পাল বাড়ি-র দুর্গোৎসব অন্যতম। দেবী দুর্গা এখানে পঞ্চমুণ্ডি-র আসনে অধিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক প্রায় পাচ শতাধিক বছর পূর্বে ওই এলাকার জমিদার শুরু করেন দুর্গাপুজো। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, ওই জমিদার-এর স্ত্রী সম্ভবত ছিলেন গৌরী পাল। যা থেকে জনশ্রুতিক্রমে এই শারদোৎসব পরিচিতি লাভ করে গৌরী পাল বাড়ির দুর্গাপুজো নামে। পরবর্তী সময়ে এই পুজো রূপ নেয় সর্বজনীন দুর্গোৎসবে। দেবীর মাহাত্ম্যগুণে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা পুজোর দিনগুলিতে ছুটে আসেন পুজো মণ্ডপে। বাংলাদেশ থেকেও ভক্তরা আসেন গৌরী পাল বাড়ির পুজো মণ্ডপে। গৌরী পাল বাড়ির দুর্গোৎসবে দেবী দুর্গাকে ভোগ নিবেদনে রয়েছে বিশেষ রীতি। গৌরী পাল বাড়ি দুর্গাপূজা কমিটির সম্পাদক সমর ঘোষ জানিয়েছেন, আগে আত্রেয়ী নদীতে প্রচুর রাইখোর মাছ পাওয়া যেত, কিন্তু কয়েক বছর ধরে রাইখোর মাছ সেই ভাবে পাওয়া যায় না, আমরা আড়তদারদের আগে থেকে বলে রাখি মায়ের ভোগের জন্য রাইখোর মাছের জোগান দেওয়ার জন্য, তবে এবছর রাইখোর মাছের জোগান নিয়ে আমরা চিন্তিত।