সংবাদদাতা, হাওড়া : স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ৪ লক্ষ টাকার চিকিৎসা হল সম্পূর্ণ নিখরচায়। বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলেন ৮১ বছরের বৃদ্ধা আলপনা দে। বর্ধমানের জামালপুরের চকদিঘির বাসিন্দা আলপনা সালকিয়ায় ত্রিপুরা রায় লেনে মেয়ে মঞ্জুলা কুন্ডুর বাড়িতে বেড়াতে এসে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান তাঁর নার্ভ, ফুসফুসে সংক্রমণ। চিকিৎসা খুবই ব্যয়সাধ্য।
আরও পড়ুন-অষ্টমীতে বোয়াল মাছের ভোগ পাল বাড়ির পুজোর বিশেষত্ব
সামান্য একটা জেরক্সের দোকান চালিয়ে মায়ের চিকিৎসার খরচ কী করে জোগাবেন মেয়ে মঞ্জুলা? তখনই এলাকার বিধায়ক গৌতম চৌধুরির দারস্থ হন তিনি। সমস্ত ঘটনা শুনে আলপনাদেবীর নাম মেয়ে মঞ্জুলার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে যুক্ত করার উদ্যোগ নেন বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। তাঁর তৎপরতাতে জেলা প্রশাসন আলপনাদেবীর নাম মেয়ে মঞ্জুলার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে যুক্ত করে। এরপর হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আলপনাদেবীকে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় ১৫দিন ভর্তি থাকার পর সুস্থ হন তিনি। প্রায় ৪ লক্ষ ১ হাজার টাকা চিকিৎসাবাবদ খরচ হয় তাঁর। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় ওই টাকার চিকিৎসার পুরোটাই নিখরচায় হয়ে যায় তাঁদের। মাকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে এসে বেজায় খুশি মেয়ে মঞ্জুলা। তিনি বললেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না হলে অত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য আমাদের ছিল না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এরই পাশাপাশি আমাদের বিধায়ক গৌতম চৌধুরী যেভাবে উদ্যোগ নিয়ে মায়ের নাম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে যুক্ত করিয়ে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিলেন তাতে তাঁকেও কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই আমাদের।