প্রতিবেদন : শুধু জরুরি পরিষেবা নয়, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে কর্মরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সব ধরনের পরিষেবা দিতে হবে, নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)৷ শীর্ষ আদালতের অবস্থান বুঝে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল-করা আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিংও জানিয়েছেন তাঁরা আদালতের নির্দেশ মেনে চলবেন৷ কেন তাঁরা এমন নির্দেশ দিচ্ছেন, তার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এলে আপনি বলতে পারেন না যে তাঁর চিকিৎসা করা হবে না, কারণ ডাক্তাররা শুধু জরুরি পরিষেবা দেবেন বলে স্থির করেছেন৷ রাজ্যের চিকিৎসা-পরিষেবায় এই ধরনের কোনও বিভাজন তাঁরা মেনে নেবেন না, সাফ জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷
একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়ে দিয়েছে যে, সিবিআই তদন্ত চলাকালীন সাসপেন্ড করা বা ছুটিতে পাঠানো হবে না আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত কোনও চিকিৎসক বা প্রশাসনিক ব্যক্তিকে৷ এই দাবি তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে সওয়াল করা প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং৷ তাঁর যুক্তি ছিল, আরজি করের সঙ্গে যুক্ত সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারপরেও তাদের সাসপেন্ড করা হয়নি বা ছুটিতে পাঠানো হয়নি৷ প্রধান বিচারপতি নিজে এই আর্জি খারিজ করেছেন৷ এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, সিবিআই যদি রাজ্য সরকারের কাছে কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য বা অভিযোগ জমা দেয়, তাহলে রাজ্য সরকার তৎক্ষণাৎ আইনমাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷ সেই সময়েই স্থির হবে কাউকে সাসপেন্ড করা হবে? নাকি তাকে ছুটিতে পাঠানো হবে? রাজ্য সরকারের এই যুক্তিতেই সিলমোহর দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ ১৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে হবে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি৷ তিলোত্তমাকে নিয়ে কোনও ভিডিও নয়। সোমবারের শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতেও বলেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
এদিন দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রায় বিকেলের দিকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। কারন তার আগে একাধিক মামলা তালিকাভুক্ত ছিল। ৪২তম মামলা হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিল এটি। এদিন সব পক্ষই তাঁদের বক্তব্য রাখেন। আগামী সোমবার ৭ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন – চা বাগানে রাজনৈতিক অশান্তির চেষ্টা: লেবার কমিশনারকে সমাধানের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর