শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপে বাগানে কাটল বোনাস জট

Must read

প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথ দেখালেন। চা-বাগানের (Tea garden) বোনাস-সংক্রান্ত জট কাটাল রাজ্যের শ্রম দফতর। মালিক পক্ষের ১৩ শতাংশ নয় বা শ্রমিকদের দাবিমতো ২০ শতাংশও নয়। পাহাড়ের চা-শ্রমিকদের ১৬ শতাংশ হারে পুজোর বোনাস নির্ধারণ করে দিল রাজ্য। মঙ্গলবার শ্রম দফতরের ঘোষণায় হাসি ফুটেছে চা-শ্রমিকদের মুখে। সব থেকে বড় কথা, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বোনাসের এই সমস্যা নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না, করেওনি। তবে মধ্যস্থতা অবশ্যই করেছে। আলোচনার মাধ্যমেই খুলেছে জট। এর ফলে পাহাড়ের চা-বাগানের লক্ষাধিক শ্রমিক উপকৃত হতে চলেছেন। রাজ্যের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনারের দফতর থেকে মঙ্গলবার এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৪ অক্টোবরের মধ্যে শ্রমিকদের বোনাস দিয়ে দিতে হবে। আর্থিক সঙ্কটে থাকা চা-বাগান (Tea garden) মালিকেরা প্রয়োজনে শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে বোনাসের অঙ্কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার ওই নির্দশিকায় জানিয়েছেন, চা-শ্রমিকদের বোনাস সংক্রান্ত জটিলতার নিষ্পত্তি করতে শ্রম দফতর মালিক পক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলিকে নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছে। বৈঠকে চা-বাগান মালিকদের অনেকেই জানিয়েছেন বিভিন্ন কারণে ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে তাঁরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। তাই ১৯৬৫ সালের বোনাস আইন অনুযায়ী ৮.৩৩ শতাংশের থেকে অধিক হারে বোনাস দিতে তাঁরা অক্ষম। সেখানে শ্রমিক সংগঠনগুলিও অন্তত ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড়। একাধিক দফায় বোনাসের টাকা নিতেও তাঁরা অস্বীকার করেছেন। একাধিকবার আলোচনার পর মালিক পক্ষ ১৩ শতাংশ হারে বোনাস দিতে রাজি হয়। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনগুলি তার পরেও ২০ শতাংশের দাবি থেকে সরতে রাজি ছিল না। এই অবস্থায় চা-বাগান শ্রমিকদের ১৬ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন- সুপ্রিম নির্দেশ না মেনে কর্মবিরতি স্বাক্ষর নিয়ে ডাক্তারদের ডিগবাজি

Latest article