পিতৃপক্ষের শেষ ও দেবীপক্ষের সূচনা। আজ মহালয়ার (Mahalaya) দিন ভোর থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় তুমুল বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ভিড় বিভিন্ন ঘাটে। বাবুঘাট থেকে বাগবাজার, নিমতলা-ঘাটে ঘাটে ভিড় করে চলছে পিতৃতর্পনের কাজ। জেলাও ব্যতিক্রম নয়। এই অবস্থায় পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা যথেষ্ট পরিমাণ রাখা হয়েছে। সমস্ত রকম প্রতিকূলতা কাটিয়েই মহালয়ার ভোরে প্রতি বছরের মত চেনা ছন্দে ফিরল শহর কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন ঘাট।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বাবুঘাট সহ গঙ্গার অন্যান্য ঘাটগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও বেশ আঁটোসাঁটো। গঙ্গায় চলছে পুলিশের টহল। যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে লাইফ জ্যাকেট, বোট। ক্রমাগত মাইকিংও করা হচ্ছে। আজ, ভোর থেকে গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতটে পুণ্যার্থীদের ভিড়। শহর কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ গঙ্গাসাগরে ভিড় জমিয়েছে । গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের পর তর্পণ করে কপিলমুনি মন্দিরে লাইন দিয়ে পুজো দিতে দিল পুণ্যার্থীর দল। এছাড়া এদিন ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ডায়মন্ড হারবারের হুগলি নদীতেও ভোর থেকে মহালয়ার তর্পণ শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে মহালয়ার আগে ৫ ঘণ্টায় ৪ নির্দেশিকা জারি করলেন নগরপাল মনোজ বর্মা। প্রসঙ্গত, ১৬৩ ধারা জারির নির্দেশিকায় পুলিশের তরফে জানানো হয়, আগামী কিছু দিনে কয়েকটি মিছিল, সমাবেশ রয়েছে যার ফলে শহর জুড়ে শান্তিভঙ্গ হতে পারে। উৎসবের মরশুমে শান্তি বজায় রাখতে সেই সব এলাকায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে ২ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ময়দান থানার আওতায় থাকা প্রেস ক্লাব চত্বর, নিউ রোড এবং মেয়ো রোড ক্রসিং, খিদিরপুর ক্লাব এবং বিধান মার্কেটের মাঝের রাস্তা এবং মেয়ো রোডের উত্তরের ফুটপাথ, হেয়ার স্ট্রিট থানার অন্তর্গত ফেয়ারলি প্লেস এবং ইন্ডিয়ান এক্সচেঞ্জ, শহিদ ক্ষুদিরাম বসু সরণি এবং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, ব্রাবোর্ন রোড, ডালহৌসি, ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিট, স্ট্র্যান্ড রোড এবং লালবাজার চত্বরে যেকোনও ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।