প্রতিবেদন : ‘আমার আড়ালে আমার আবডালে।’ মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলছিলেন, কোনও গান সৃষ্টির সময় গীতিকার কিংবা সুরকারের আসল ভাবনাটা মানুষ অনুধাবন করতে পারেন না। কতবার যে গানটা পরিবর্তন হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। কেমন সুর হওয়া উচিত, কোন স্কেলে হবে, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁকেই আজ কাছে পেয়েছি। তাঁর গলাতেই শুনি তাঁর সৃষ্টি।
মঞ্চে উঠেই নেত্রী (CM Mamata Banerjee) বললেন, গানটা শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় গাইবেন। আমি বসে আছি ওঁরটা শোনার জন্য। বক্তৃতা দিতে গিয়ে গলা বসে গিয়েছে। ভুল হতে পারে। দু’লাইন গাইব। নেত্রী বললেন, খালি গলাতেই গাইব। প্রায় অর্ধেক গান গাইলেন। ওই সময় পিনপতনের শব্দ শোনা যেত নজরুল মঞ্চে। ৩ হাজারের বেশি দর্শক-শ্রোতা মুগ্ধ হয়ে শুনলেন।
তার আগে নেত্রী বলেন, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আমরা সব কাজ করি। ধর্ম-কর্মও মানি। সর্বধর্ম সমন্বয় হচ্ছে লক্ষ্য। রবীন্দ্রনাথের কথায়, সবারে করি আহ্বান। এসো উৎসুক চিত্ত, এসো আনন্দিত প্রাণ। ইতিমধ্যে তাঁর লেখা গানের সংখ্যা ১৩০ পেরিয়ে গিয়েছে। সেকথা স্মরণ করিয়ে দিলেন ইন্দ্রনীল সেন ও অরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন- ভার্চুয়ালে জেলায় জেলায় ৪০০ পুজোর উদ্বোধন
এদিন ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে বিকেল ৩টেয় দলীয় মুখপত্রের উৎসব সংখ্যা উদ্বোধন করতে আসেন নেত্রী (CM Mamata Banerjee)। সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে প্রথমে গান শোনেন শিল্পীদের। নবীন শিল্পীরা তাঁর ‘অঞ্জলি’ অ্যালবামের গান শুনিয়েছেন তৃষা পারুই, ঐতিহ্য। বাদ যাননি তারকা শিল্পী নচিকেতা, শ্রীরাধা থেকে ইন্দ্রনীল সেনও। গেয়েছেন দেবজ্যোতি বসুও। মহালয়ার দিন, দেবীপক্ষের শুরুতে উদ্বোধনে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান।
এদিন অনুষ্ঠান পরিচালনায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী ও জাগোবাংলা পত্রিকার সম্পাদক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও দর্শকাসনে ছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, পার্থ ভৌমিক, দোলা সেন, দলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বেচারাম মান্না, বিধাননগর কর্পোরেশনের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, সব্যসাচী দত্ত, দেবাশীষ কুমার, জুন মালিয়া, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ বক্সি, অলোক দাস, অরূপ চক্রবর্তী-সহ দলের বহু কাউন্সিলর, সাংগঠনিক নেতৃত্ব ও কর্মী-সমর্থকেরা।