অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ: দেবী দুর্গার এখানে চণ্ডী রূপ। প্রায় ৫০০ বছর প্রাচীন এই পুজোতে ঐতিহ্য মেনে সোনা রূপার অলঙ্কারে সেজে ওঠেন মা চণ্ডী। দেবী দশভূজা নন, বরং রয়েছে চার হাত। হাতে সজ্জিত ত্রিশূল, ঢাল, চক্র। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে উৎমাই চণ্ডীর পুজো ঘিরে এখন সাজ-সাজ রব। দুর্গা মা-এর আগমনে আর হাতে গোনা ক’দিন। উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়কের পাশে কাকড় শিংয়ে দেবী চণ্ডীর পুজো হয়ে আসছে এই সময়ে। বাংলাদেশের রাজশাহি জমিদাররা এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন আগে। এরপর এই পুজোর দায়িত্ব দিয়ে যান হেমতাবাদের দেবশর্মা পরিবারকে। বংশ পরম্পরায় এই পুজো করছে শরিকের পরিবার। তাদের সঙ্গে মিলেমিশে পুজো করেন স্থানীয়রাও। দেবশর্মা পরিবারের সদস্যরা জানান, বাংলাদেশের রাজশাহি জমিদারের কাছ থেকে আমাদের দেবশর্মা পরিবার এই পুজোর দায়িত্ব নেয়। দেশ-বিদেশের মানুষ এই পুজোয় আসেন। প্রতিমা তৈরি হয় মন্দিরেই। দশমীতে শুধু ঘট বিসর্জন হয়। সারাবছর দেবীর প্রতিমা মন্দিরে রেখে পুজো করা হয়। পরের বছর পুজোর একমাস আগে সেই প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে ওই কাঠামোতেই নতুন প্রতিমা তৈরি হয়। পুজো কমিটির সদস্য গয়ানাথ দেবশর্মা জানান, মন্দিরের নামে ৭-৮ বিঘা জমি রয়েছে। রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়কের ধারে আগে জঙ্গলের মধ্যেই দেবীর পুজো হত। পরে মাটির ও দোচালা মন্দির ছিল। জেলার বহু জায়গা থেকে মা-কে দর্শন করতে আসেন দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন- নিজের লেখা নিজের সুর খালি গলায় গান গেয়ে মঞ্চ মাতালেন নেত্রী