মর্মান্তিক ঘটনা রাজধানীতে। ক্রমশ অপরাধের শহরে পরিণত হচ্ছে দিল্লি (Delhi)। গ্যাংস্টারা ঘুরে বেড়াচ্ছে বহাল তবিয়তে। বাড়ছে তোলাবাজির ফোন। প্রতিনিয়ত গুলি চালানোর ঘটনা ঘটছে। দিল্লিতে যে নিজেদের কাজ করতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার বার বার প্রকাশ্যে আসছে সেই ঘটনা। দুই নাবালকের হাতে ছিল ক্ষত। সেই জায়গা ড্রেসিংয়ের পরে হঠাৎ করেই হাসপাতালের মধ্যে সেই দুই আততায়ী চিকিৎসককে গুলি করে খুন করল। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জৈতপুরের কালিন্দী কুঞ্জ এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান দুই সন্দেহভাজনের বয়স আনুমানিক ১৬ বা ১৭ হবে। অভিযুক্তদের ধরতে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান এটা ‘টার্গেট কিলিং’। বেসরকারি এই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা এই মর্মে জানান বুধবার রাতে হাসপাতালে আসে দুই নাবালক। আঙুলে চোট লাগার ফলে ড্রেসিং করে দেওয়ার কথা জানায় তারা। মঙ্গলবার রাতে ওই হাসপাতালের নাবালকের চিকিৎসা হয় এরপর আবার বুধবার রাতে ড্রেসিংয়ের পরে নাবালকরা প্রেসক্রিপশন দাবি করে। এরপরেই চিকিৎসকের কেবিনে ঢুকে যায় তারা।
আরও পড়ুন-নিম্নচাপের জেরে বিপর্যস্ত দার্জিলিং, ধসে মৃত ১
জানা গিয়েছে, জাভেদ আখতার নামে ৫৫ বছরের ওই চিকিৎসকের কেবিনে দুই নাবালক ঢোকার পরেই গুলির শব্দ আসে। সকলেই খুব দ্রুত চিকিৎসকের কেবিনে ঢুকে দেখেন যে চিকিৎসকের মাথায় গুলি করা হয়েছে এবং চারদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পলাতক দুই নাবালক। আজ, সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চিকিৎসকের দেহ এইমসে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই যুবক কীভাবে হাসপাতালে ঢুকল। বেসরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা পরিকাঠামোর ওপরেও থাকছে প্রশ্ন চিহ্ন। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লির নিরাপত্তা নিয়ে দিল্লি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দিকে আঙ্গুল তুলছে রাজনৈতিক মহল।