প্রতিবেদন : ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ এগোচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই এই নিয়ে সুখবর শোনাবেন মুখ্যমন্ত্রী। একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন সাংসদ-অভিনেতা দেব। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক ও প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অকপট দেব বলেন, দীর্ঘদিনের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করার কোনও সদিচ্ছা কেন্দ্রের নেই। সেই কারণেই তিরিশ বছর ধরে পড়ে থেকেও বাস্তবের মুখ দেখেনি এই প্রকল্প। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অসাধ্য সাধনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। কাজ এগোচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই সুখবর পাবেন ঘাটালবাসী। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন দেব। এ-বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটে দাঁড়াবেন না বলে দলকে জানান দেব। কারণ হিসেবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের কোনও সম্ভাবনা নেই দেখে নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকার করবে। একথা শুনে অবাক হয়ে যান দেব। এরপরই সিদ্ধান্ত বদলান তিনি।
আরও পড়ুন-অবৈধ সমাবর্তন, সিইউতে রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্রপরিষদ
মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র দেব। ছোটবেলা থেকেই জলমগ্ন ঘাটাল দেখেছেন। কিন্তু সাংসদ হওয়ার পরে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁর লোকসভা এলাকার লোকজন। তাঁরা মনে করেন, দেবই পারবেন এই সমস্যার সমাধান করতে। অথচ এরপর দুবার সাংসদ হয়েও পূরণ করতে পারেননি তিনি। দেব স্পষ্ট জানান, মানুষের কাছে কথা রাখতে না পেরে তিনি কুণ্ঠিত, তাই আর দাঁড়াবেন না ঠিক করে ফেলেছিলেন।
জয়ের পর তিনি কি ভুলে গিয়েছেন এই মাস্টার প্ল্যানের কথা? দেব জানালেন, একেবারেই নয়। তিনি খোঁজখবর রাখছেন। কাজ এগোচ্ছে। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তুড়ি বাজিয়ে এর সমাধান হবে না, সময় লাগবে। দেবের কথায়, কাজ এগোচ্ছে। আশা করি, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সুখবর দেবেন।
আরও পড়ুন-গরিবের টাকা লুঠ, এসবিআইয়ের ভুয়ো শাখা বিজেপি রাজ্যে
তবে, একই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ জানান, একা কারও পক্ষেই এই কাজ সম্ভব নয়। মাস্টার প্ল্যানের জন্য বেশ কিছু জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সেই কাজে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন সাংসদ। কুণাল ঘোষ বলেন, এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সহজ কাজ নয়। সুতরাং মাস্টার প্ল্যান তৈরিতে দেবকে সহযোগিতা করতে হবে ঘাটালবাসীকেও। এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে দেবকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, জবাবে দেব বলেন, গরিব মানুষদের ওপর যেন অন্যায় না হয়। ভগবানের আর এক রূপ হলেন ডাক্তার। তাঁদের ওপর মানুষ ভরসা করেন।