প্রতিবেদন: যোগীরাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানায় (Firecracker factory) ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল ২ শিশুসহ ৬ জনের৷ মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২ মহিলাও। গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত ৬ জন। শুধু তাই নয় বিস্ফোরণের (Firecracker factory) অভিঘাতে ভেঙে পড়েছে ৪টি দোকানও। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা৷ ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশের বরেলি। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার৷ একটি বাড়িতে মজুত করা হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে বাজির মশলা। বিস্ফোরণ ঘটে সেখানেই। বাজি কারখানাটির লাইসেন্সের মেয়াদ গত মার্চেই শেষ হয়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে মূল অভিযুক্ত নাসিরও রয়েছে। নাসির গত ১৫ বছর ধরে বাজির ব্যবসা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে যোগীরাজ্যের প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কীভাবে রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি বাজি কারখানা? প্রশাসন কি ঘুমোচ্ছিল, নাকি তাদের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে এর নেপথ্যে? জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের খবর পেতেই সিরৌলি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়৷ জেসিবির সাহায্যে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে৷ ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারে আশঙ্কাও করা হচ্ছে৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই বেআইনি বাজি কারখানায় আতশবাজি তৈরি হচ্ছিল৷ সেই সময় বিস্ফোরণ হয়৷ এরপর একের পর এক বিস্ফোরণে পুরো গ্রাম কেঁপে ওঠে৷ বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মানুষ ভয়ে পেয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান প্রশাসনিক কর্তারা৷ ওই বাড়িটিতে তিন জন মহিলা ছিলেন৷ তাঁদের মৃত্যু হয়েছে৷ গভীর রাতে উদ্ধারের সময় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ২ শিশুর দেহও উদ্ধার করা হয়৷ বৃহস্পতিবার চিকিৎসার সময় আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ লক্ষণীয়, কিছুদিন আগে গাজিয়াবাদেও প্রায় একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। এর থেকেই প্রমাণিত, যোগীরাজ্যে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি বাজি তৈরি এবং বিক্রি।
আরও পড়ুন- হরিয়ানায় শেষ দিনের প্রচারে মরিয়া সব পক্ষ