সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর : সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে চন্দ্রকোনার মাংরুল গ্রামের উত্তরপাড়ার ১৩ পরিযায়ী শ্রমিক চেন্নাইয়ে ধান রোয়ার কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker) মৃত্যু এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজীব গান্ধী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Worker)। শ্রমিকদের দাবি, কাজ না পেয়ে তাঁরা গ্রামে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। চেন্নাই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনে এসে ১৩ জনের পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় ৩২ বছরের সমর খানের। এখনও চিকিৎসাধীন সত্য পন্ডিত। শ্রমিকরা জানান, অসুস্থ অবস্থায় অনাহারে কাটাতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সুস্থ হয়ে কয়েকজন ফিরলেও, ফিরলেন না সমর, বুধবার বিকেলে ফিরল তাঁর কফিনবন্দি মৃতদেহ। চন্দ্রকোনার গ্রামে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে কীভাবে সংসার চালাবেন জানেন না সমরের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। মৃতের পরিবারের পাশে সবরকম সহযোগিতা নিয়ে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া। গতকাল মহালয়ার দুপুরে দেহ বাড়ি ফেরার আগেই সেখানে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান বিধায়ক। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দাহকাজ সম্পন্ন করান। তিনি বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য সরকার চেন্নাইয়ে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের উদ্ধার থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় বাকিদের বাড়ি ফেরানো গিয়েছে। মৃত এক শ্রমিক সমরের দেহ সরকার বিমানে করে আনিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। এছাড়াও পরিবারের পাশে প্রশাসন থেকে আমরা সবাই আছি।
আরও পড়ুন- ওম বিড়লাকে চিঠি সুদীপের, বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আনা হোক মহুয়াকে