দেবী গড়তে
ঠাকুর গড়বে তো পুরুষরাই। মহিলা মৃৎশিল্পী কথাটাই যেন কয়েক যুগ আগে অচেনা শোনাত। মহিলাদের ধারে-কাছে ঘেঁষার সুযোগ দেওয়া হত না। কিন্তু পুরুষপ্রধান মৃৎশিল্পীদের সমাজে সব ধ্যানধারণাকে উল্টে দিয়ে বেশকয়েক বছর যাবৎ এগিয়ে চলেছেন মহিলা মৃৎশিল্পীরা।
মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ি পঞ্চায়েতের নলডুবিতে বাসন্তী দাসের স্বামী কৃষ্ণ দাস ছিলেন নামী মৃৎশিল্পী। ঠাকুর গড়তেন তিনি। কিন্তু একদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। প্রায় এক দশক আগের কথা। কৃষ্ণ দাসের তিন মেয়ে, এক ছেলে। সংসারের এমন এক ভরাডুবি অবস্থায় বাসন্তী ধরেন সংসারের হাল। স্বামীর কাছেই ঠাকুর গড়া শিখেছিলেন বাসন্তী বিয়ের পর। সেই শেখাটাই কাজে আসে এবার। প্রতিমা বানানো শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে সেটাই তাঁর পেশা হয়ে যায়। এই প্রতিমা তৈরি করেই তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বাসন্তী। একমাত্র ছেলেকে শেখাচ্ছেন পড়াশুনো। পাশাপাশি প্রতিমা তৈরিতে হাতেখড়িও দিয়েছেন তিনি। সন্তানকে আত্মনির্ভরতার পাঠ শেখাচ্ছেন বাসন্তী। প্রতি বছরই বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা বাসন্তীকে প্রতিমা বানানোর বায়না দিয়ে যান। এবার পুরাতন মালদার এই মহিলা মৃৎশিল্পী চারটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন। যার মধ্যে রয়েছে নলডুবি, বাগানপাড়া এবং ইংরেজবাজার শহরের গয়েশপুর এলাকার ক্লাবগুলি।
আরও পড়ুন-কাঁচা সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান মহকুমাশাসকের
কুমোরটুলি কলকাতার অন্যতম নামী পটুয়াপাড়া যা নিজেই এক ইতিহাস। সেই কুমোরটুলির বিখ্যাত পুরুষ মৃৎশিল্পীদের পাশাপাশি উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে তিনটে নাম চায়না পাল, কাকলি পাল, মালা পাল। পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বহুদিন ধরেই প্রতিমা গড়ছেন এই দক্ষ মহিলা মৃৎশিল্পীরা। বিদেশে একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন চায়না পাল। বাবা মারা যাবার পর সংসারের হাল ধরতে ঠাকুর গড়ায় হাতেখড়ি তাঁর। কাকলি এবং মালার গল্পটাও ওইরকমই। যে সময় তাঁরা প্রতিমা গড়া শুরু করেন তখন মেয়েদের এই ধরনের কাজকে ভাল মনে, চোখে নেওয়া হত না। সেই প্রতিকূলতার মধ্যেও সফল হয়েছেন তাঁরা কিন্তু এর চেয়ে অবাক করা একটা বিষয় হল এতদিনে কুমোরটুলি পেয়ে গেছে তাঁর সর্বকনিষ্ঠ মহিলা মৃৎশিল্পীকে। এইসব নামজাদা মহিলা মৃৎশিল্পীদের পাশে ইতিমধ্যেই নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। বিখ্যাত মৃৎশিল্পী মিন্টু পালের কন্যা রিমা পাল। মিন্টু পালকে কে না চেনেন। তাঁর গড়া ঠাকুর শুধু কলকাতার মণ্ডপেই পূজিতা হন না বহুদিন ধরে বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছে। ইউকে, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া— সর্বত্র পাড়ি দেয় পিন্টু পালের তৈরি দশভুজা। এহেন নামজাদা শিল্পীর কন্যা রিমা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে মাস্টার ডিগ্রি পেয়েছেন। বাবার কাছে মূর্তি গড়ার হাতেখড়ি সেই কোন ছোটবেলায়। পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম বছর বাইশের রিমা প্রতিমা গড়া শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই আর পেয়ে গেছেন সর্বকনিষ্ঠ মৃৎশিল্পীর তকমা। এবার তিনি উত্তর কলকাতার একটি সর্বজনীন পুজোর প্রতিমা গড়ছেন। পাশাপাশি হায়দরাবাদে চলছে রিমার তৈরি শিল্পকর্মের কর্মশালা। রিমা চান এটা একটা দারুণ কাজ তাই এই পেশাতেও ভালবেসে আসুন আরও মেয়ে।
আরও পড়ুন-পুজোর আগেই ভাঙা রাস্তা সারিয়ে দিচ্ছে জেলা পরিষদ, ছয় বছরেও ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করছে না রেল
ঢাকের তালে
পুজোর ঢাকে কাঠি থুড়ি পুজোয় মহিলাদের ঢাকে কাঠি। সে আবার কী! মেয়েরা ঢাক বাজাবে! কেন নয়? মেয়েরা গিটার বাজাচ্ছে, তবলা বাজাচ্ছে, পিয়ানো বাজাচ্ছে, ব্যাঞ্জো বাজাচ্ছে তাহলে ঢাক কেন নয়? যদিও কয়েকবছর আগেও এমনটা ভাবাই যেত না কিন্তু এখন পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহিলারা অটো, টোটো, বাস, রিকশা যেমন চালাচ্ছেন তেমনই অনায়াসে ঢাকও বাজাচ্ছেন। পুজো এসে গেল। ঢাকের বাদ্যি বেজে উঠেছে মেয়েদের হাতে। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা ঢাকি দল হল মতিলাল ঢাকি ডট কম। শুরুর দিকে আমকাঠের ভারী ঢাক নিয়ে একটানা ঢাক বাজাতেন সংস্থার ঢাকি মহিলারা। কিন্তু খুব কষ্ট হত তাঁদের। কাঁধে ফোসকা পড়ে যেত। ঢাকি দলের গুরু গোকুলচন্দ্র দাস দেখলেন একটানা পাঁচঘণ্টা-ছ’ঘণ্টা ঢাক বাজাতে হলে মেয়েদের দরকার হালকা ওজনের ঢাকের। যাতে মহিলাদের এই প্রচেষ্টায় বাধা না পড়ে তিনি তৈরি করলেন একটু ছোট হালকা মেটিরিয়ালের ঢাক। আমকাঠের ঢাকের মতো ওই ঢাকের আওয়াজ ততটা মিষ্টি না হলেও বেশ সুন্দর সেই ঢাকের আওয়াজও। গুরু গোকুলচন্দ্র দাস মেয়েদের উৎসাহিত করে এই কাজে নিয়ে আসেন। তাঁদের বাধা ছিল প্রচুর। পরিবারের তরফে কিন্তু আজ আর কোনও বাধাই বাধা নয়। আগে পুজোর দিনে ঢাকিরা ঢাক বাজাতেন কিন্তু দিন বদলেছে এখন ফিউশন ব্যান্ডের সঙ্গেও ঢাক বাজাচ্ছেন এই ঢাকি দলের মহিলা সদস্যরা আবার বাউল গানের সঙ্গেও সঙ্গত দিচ্ছেন তাঁরা। ঢাকিবাড়িরই এই সব মেয়ে-বউ ঢাকের সূত্রে পৌঁছে গেছেন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও।
একইরকম ভাবে পরিবারের রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ ভেঙে ঢাকের বোলে প্যান্ডেল মাতাচ্ছে আরামবাগ সালেপুরের মহিলা ঢাকির দল। নারীদের পিছিয়ে থাকার দিন যদিও শেষ তবুও গ্রামে-গঞ্জের মহিলাদের জীবনশৈলী ততটাও উদার নয়। র গেরস্থালীর বাইরে কিছু করতে গেলেই বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে মনের আনন্দে ঢাক পেটাচ্ছেন কালীমাতা ঢাকি সম্প্রদায়ের মহিলা ঢাকিরা। পঞ্চমী থেকে দশমী— বেজায় ব্যস্ত ওই মহিলা ঢাকিরা। শুধু যে দুর্গাপুজো তা না, সারা বছর প্রতিটা পুজোতেই বায়না আসে তাঁদের। ঢাক নিয়ে মনের আনন্দে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। এই ঢাকি দলে রয়েছেন ২৪ জন মহিলা।
আরও পড়ুন-নবরাত্রির পুজো দিয়ে টি ২০-র প্রস্তুতি গম্ভীরের
প্রায় পাঁচবছরের পুরনো এই মহিলা ঢাকি দল ২০ থেকে ৩০ ধরনের বোল বাজাতে পারেন। এই দলের নমিতা দলুই, চম্পা, লক্ষ্মীদের মতো দক্ষ ঢাক বাজিয়েরা শুধু অন্যকে আনন্দ দেন না নিজেরাও একইরকম ভাবে আনন্দে মেতে ওঠেন। এই ঢাক বাজিয়ে রোজগার করেই সংসারের স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়েছেন তাঁরা।
পৌরোহিত্যে
মৃৎশিল্পী বা ঢাকি না হয় হল কিন্তু তাই বলে পৌরোহিত্যে নারী? গল্পগাথার যুগ শেষ আর মহিলা পুরোহিতের যুগ শুরু। ২০২১ সালে মেয়েদের পৌরোহিত্যের এই ট্রেন্ড শুরু করে কলকাতার বিখ্যাত পুজো কমিটি ৬৬ পল্লি। সেই ট্রাডিশন তাঁরা মেনেছেন গত বছরেও। এবছরেও ব্যতিক্রম হবে না। গত বছর পৌরোহিত্যের দায়িত্বে ছিলেন নন্দিনী ভৌমিকের নেতৃত্বে তাঁর ‘শুভম অস্তু’ সংস্থা। কে এই নন্দিনী ভৌমিক! মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিকের জীবনকাহিনি থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছিল বাংলা ছবি ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মোটি’। এই মুহূর্তে খুব পরিচিত এবং জনপ্রিয় ‘শুভম অস্তু’। পুরুষতন্ত্রের বেড়াজাল ভেঙে, লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে গিয়ে পৌরোহিত্যে যে শুধু পুরুষের একাধিপত্য নয় সেটা দেখিয়েছিলেন নন্দিনী ভৌমিক। শুরুর দিনে নন্দিনীর পাশে ছিলেন রুমা, সেমন্তী এবং পৌলোমী। এই চারজনে মিলে কলকাতার নামকরা ক্লাবের পুজোর দায়িত্ব সামলেছেন অনায়াসে। বৈষম্যহীন পুজোর ধারক এই চার নারী প্রথম দেখিয়েছিলেন মেয়েরা চাইলে সব পারে। সেই চারজন থেকে এখন শুভম অস্তু ১৬ জনের একটি মহিলা পুরোহিতের দল। নন্দিনী এবং তাঁর টিম দুর্গাপুজোয় গতবছর পর্যন্ত পৌরোহিত্য করেছেন কলকাতার বিভিন্ন বড় এবং বনেদি পুজোয়। তাঁদের মধ্যে কেউ প্রধান পুরোহিত নেই। পুজোর ক্ষেত্রে আচারবিধির অর্থ ব্যাখ্যা করা এবং প্রাচীন ঐতিহ্য বজায় রেখে সেগুলি পরিচালনা করেন তাঁরা। কিন্তু পৌরোহিত্য তো ব্রাহ্মণেরই অধিকার তাহলে এতদিনকার প্রচলিত বিশ্বাস ধ্যানধারণা কি ভুল? নন্দিনী মনে করেন কেউ জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হতে পারেন না, বিভিন্ন গুণাবলি অর্জনের মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণ হতে হয়। এবছরও মাতৃবন্দনায় রত হবেন এই মহিলা পুরোহিতের দল।
আরও পড়ুন-বাংলা জুড়ে পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
সাজে অলঙ্কারে
বর্ধমানের বনকাপাসি গ্রাম শোলাশিল্পের জন্য বিখ্যাত। এই গ্রামের শিল্পীদের তৈরি শোলার সাজ পাড়ি দেয় ভিনরাজ্যেও। এই শোলার সাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বনকাপাসির মহিলারা। এই গ্রামেরই শোলা শিল্পী পূর্ণিমা মুখার্জি খুব ছোট থেকেই এই শোলার কাজের সঙ্গে যুক্ত। এখন সংসার সামাল দিতে এই শোলার কাজকেই পেশা আর নেশা করে নিয়েছেন। শোলার মুকুট, কানের, হার থেকে শুরু করে তৈরি হচ্ছে আরও নানান ধরনের অলংকার তৈরি হয় সেসব অলঙ্কারে সেজে ওঠেন দেবী দুর্গা। আর এই কাজ থেকে আসা উপার্জনে সুন্দর হয়ে ওঠে তাঁদের প্রতিবছরের দুর্গাপুজো।
চরম ব্যস্ততায় মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ব্লকের মালাকার পাড়ার ঝর্না মালাকারেরা। তিনি এবং তাঁর স্বামী জনার্দন মালাকার দুজনেই নিখুঁত শোলার গয়না তৈরি করেন। দেবী দুর্গার ডাকের সাজের কাজ তাঁদের হাতে অসাধারণ। রথের দিন কাঠামোপুজোর পর তাঁদের কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে শোলার সাজের অর্ডার। ছুরি দিয়ে প্রতিমার অঙ্গসজ্জার এই সূক্ষ কাজে লাগে অনেক ধৈর্য। পুজোর আগে থেকে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দিনরাত জেগে করে চলেন মায়ের অলঙ্কার তৈরির কাজ।
পুজোর আয়োজনে
দুর্গাপুজোর আয়োজনে ক্রমশ বাড়ছে মহিলাদের অংশগ্রহণ। শহর থেকে জেলা— যেসব পুজোর যাবতীয় কাজ বছর কয়েক আগেও সামলাতেন ছেলেরা, সেই পুজোর সব দায়িত্বই এখন পালন করতে দেখা যাচ্ছে মেয়েদের। চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে পুরোহিত, ঢাকি জোগাড় এমনকী ঠাকুর আনা— সবটাই তাঁরা করছেন সমান দক্ষতার সঙ্গে। যেমন হিন্দুস্থান ক্লাব পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা হলেন মহিলা। এখনও পর্যন্ত পর পর বেশ কয়েকটি শারদসম্মান পেয়েছে এই পুজো কমিটি যার পুরোভাগে রয়েছেন মহিলারাই। বেশ কয়েক বছর যাবৎ থিমের পুজো হচ্ছে এখানে। বিটি রোড, টবিন রোড সংলগ্ন দয়ের পল্লি মহিলা বৃন্দের পুজোটা এবছর কুড়িতে পা দিল। এই ক্লাবে নেই কোনও পুরুষ সদস্য। চাঁদা তোলা থেকে বিসর্জন— সবকিছু মেয়েরাই করেন। প্রায় তিরিশ জন সদস্য এক-একদিন এক-এক জন মায়ের ভোগের ভার নেন। সাবেকি প্রতিমা সাবেকি প্যান্ডেল সবমিলিয়ে আন্তরিকতার নিদর্শন এই পুজো। এ-বছর এই পুজোর মণ্ডপ তৈরি হবে পুকুরে মধ্যে। সল্টলেকের বেশ কয়েকটি ব্লকে গত কয়েক বছর ধরে মহিলা পরিচালিত পুজোর সংখ্যা বাড়ছে। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে মেয়েদের উদ্যোগেই একটি দুর্গাপুজোর আয়োজন হচ্ছে বাগুইআটিতে। বাগুইআটির এই পুজোটা যখন শুরু হয় তখন এই শহরে মহিলা পরিচালিত পুজোর সংখ্যা খুব কম ছিল। সেই সময় এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রেখেছিল। হাওড়া ব্যাঁটরা মহিলা সংঘের পুজোও মহিলা পরিচালিত দুর্গা পুজো। এটা মহিলাদেরই ক্লাব যেখানে সদস্যসংখ্যা প্রায় তিরিশ। থিমের ঠাকুর হচ্ছে কয়েক বছর ধরে। ঠাকুর আনা থেকে পুজোর যাবতীয় দায়িত্বে রয়েছেন মেয়েরা। রামরাজাতলা হাটপুকুর শরণ্যা মহিলা মহলের পুজোর বয়স মাত্র ছ-বছর। এই পুজোটা খুব ঘরোয়া ছোট্ট সুন্দর একটা পুজো। পাড়ার কাকিমা, জেঠিমা, বৌদিরা, বাড়ির মেয়েরাই এই পুজোর পুরোভাগে। প্রতিমা সাবেকি হয় প্রতিবছর। থিমের চাকচিক্যের বাইরে আন্তরিকতার ছোঁয়া রয়েছে পুজো ঘিরে। এলাকার মেয়েদের পাশাপাশি পুরুষেরাও কাঁধে কাধ মিলিয়ে তাঁদের সঙ্গে হাত লাগান।
আরও পড়ুন-বন্যা ত্রাণে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ দিলেন গুপ্তিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা
শুধু এ-রাজ্যে কেন খোদ রাজধানীতেও এখন মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো হয়। দিল্লির শালিমার গার্ডেনের পুজোটা বিগত দুবছর ধরে পুরোটাই মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। এটি শালিমার গার্ডেন মহিলা সেবা সমিতিরই পুজো। এবছরও তার ব্যতিক্রম নেই। ২০২৩-এ উত্তর ভারতে এমন উদ্যোগ ছিল প্রথমবার। গতবার এই পুজোয় এসেছিল মহিলা ঢাকি এবং পুরোহিতও আনা হয়েছিল মহিলা।