প্রতিবেদন : জয়নগরের মহিষমারির ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ পুলিশের (Police)। গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথেই নিখোঁজ হয়ে যায় ১০ বছরের নাবালিকা। পরে তার দেহ পাওয়া যায় এলাকাতেই। ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে দল। তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য, দোষীর দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে ফাঁসির সাজা দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ না শোনার অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। এ-বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, জেলার পুলিশ সুপার-সহ বাকিরা দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করেছেন। ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। ফাঁড়ি থেকে থানায় ঘোরানোর যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যি হলে পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করব খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। তবে ঘটনার উত্তেজনায় গ্রামবাসীরা ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে ঠিক করেননি।
কুণালের সংযোজন, পুলিশ (Police) বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাল কাজ করছে। কিন্তু কখনও কখনও নিচুতলার দু’একজনের জন্য সরকারের ঘাড়ে দায় চাপছে। তবে সিপিএম-বিজেপি ওখানে শকুনের রাজনীতি করতে গিয়েছে। বাম জমানায় এরকম খুন-ধর্ষণের ঘটনা একাধিক ঘটেছে। ডিসি (পোর্ট) বিনোদ মেহেতাকে কুপিয়ে মারা হয়েছে। আর বিজেপি রাজ্যগুলিতে তো পরপর ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। ফলে গ্রামবাসীদের অনুরোধ করব, ওদের কথায় কান দেবেন না। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। শনিবার এলাকায় যান সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল এবং স্থানীয় বিধায়ক গণেশ মণ্ডল।
শুক্রবার টিউশন থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ছাত্রী। পরে ফাঁকা মাঠ থেকে উদ্ধার নাবালিকার নিথর দেহ। একাধিক আঘাতের চিহ্ন। দশ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সকাল থেকেই উত্তপ্ত কুলতলির কৃপাখালি এলাকা। এদিন কাটাপুকুর মর্গে দেহ আনা হয় ময়নাতদন্তের জন্য। সেখানেও লাশের রাজনীতি করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধায় সিপিএম। পুজোর মরশুমে সরকারকে বিপাকে ফেলতে ক্রমাগত চক্রান্ত করে চলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু প্রশাসন দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে অভিযুক্ত যাতে দ্রুত সাজা পায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিনা অনুমতিতে অবস্থান, পুজোর মরশুমে হয়রানি সাধারণ মানুষের