প্রতিবেদন : রাজ্যে সবুজ বাজির উৎপাদন ও বিক্রিতে গতি আনতে রাজ্য সরকার জেলায় জেলায় বাজি ক্লাস্টারের পাশাপাশি বাজি ব্যবসায়ীদের জন্য গুদাম তৈরির জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে সরকারের কাছে বাজির গুদাম তৈরির জন্য জমি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরকার বাজি ব্যবসায়ীদের বিনামূল্যে ওই জমি দেবে। তারা নিজেদের খরচে গুদাম ঘর তৈরি করে নেবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, পূর্ব মেদিনীপুরে এজন্য প্রাথমিকভাবে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। উৎসবের মরশুম ছাড়াও যারা সারা বছর বাজি উৎপাদন ও বিক্রি করেন মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর প্রশাসনিক সূত্রে।
আরও পড়ুন-তারকাদের পুজো
জেলায় জেলায় পরিবেশবান্ধব বাজির ক্লাস্টার নির্মাণের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। উত্তর ২৪ পরগনা, হাবড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, শিলিগুড়ি, মাথাভাঙ্গা, জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতে জোরকদমে চলছে ক্লাস্টার তৈরির কাজ। পাশাপাশি জোরকদমে চলছে বাজি নির্মাতাদের প্রশিক্ষণ পর্ব। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা নিরি রাজ্যের ২৩২ জন বাজি উৎপাদককে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে। দ্রুত আরও কিছু লাইসেন্স বিলি হবে। এদিনের বৈঠকে দমকল, পরিবেশ, শ্রম দফতরের সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং পুর কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
বাজি ব্যবসায়ীদের একাধিক সংগঠনের পাশাপাশি সমস্ত জেলার জেলাশাসক পুলিশ কমিশনাররা ভার্চুয়াল ভাবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং নিরির প্রতিধিরাও। চলতি বছর রাজ্যে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দ সীমার মধ্যে থাকা বাজিতে ছাড়পত্র দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সেকথা মাথায় রেখে যাতে বাজি নির্মাতারা উৎপাদন ও বিক্রি করতে পারেন সে-ব্যাপারে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সবুজ বাজি উৎপাদন ও বিক্রির লাইসেন্স বণ্টনের কাজে গতি আনার পাশাপাশি নিষিদ্ধ আতশবাজি বিক্রি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।