পুজোর বুকিং এখনও তলানিতে, মাথায় হাত হোটেল ব্যবসায়ীদের

বাঙালির প্রিয় দিপুদা অর্থাৎ দিঘা-পুরী-দার্জিলিং। হাতে অল্প কদিনের ছুটি মিললেই বাঙালির ডেস্টিনেশন এই তিনটির কোনও একটি জায়গা।

Must read

সংবাদদাতা, দিঘা : বাঙালির প্রিয় দিপুদা অর্থাৎ দিঘা-পুরী-দার্জিলিং। হাতে অল্প কদিনের ছুটি মিললেই বাঙালির ডেস্টিনেশন এই তিনটির কোনও একটি জায়গা। কিন্তু চলতি বছরে পুজোর ছুটিতে তেমন ভাল বুকিং নেই দিঘার হোটেলগুলিতে। গত বছর এই সময় পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল গোটা দিঘা। এই সময়ে প্রায় ১০০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছিল গতবার। কিন্তু এ বছরে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়েছে। ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফুটছে দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের।

আরও পড়ুন-মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করছেন পুলিশ-কর্তারা

সৈকত শহর দিঘায় ছোট-বড় সব মিলিয়ে প্রায় তিন থেকে চার হাজার হোটেল রয়েছে। দিঘার পর্যটনকে কেন্দ্র করে এই সমস্ত হোটেলগুলিতে বহু কর্মীর কর্মসংস্থান হয়। অন্যান্য বছর পুজোর সময় কর্মচারীদের নাওয়াখাওয়ার সময় থাকে না। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি রাজ্যের বাইরে থেকেও বহু পর্যটক পুজোয় দিঘা বেড়াতে আসেন। পুজোর ছুটিতে গমগম করত দিঘা। কিন্তু এবার তার চিহ্ন এখনও অবধি দেখা যাচ্ছে না। দিঘায় তাও অল্পবিস্তর কিছু হোটেলে বুকিং হলেও পাশের মন্দারমণি বা তাজপুরে বুকিং একেবারেই প্রায় নগণ্য। নিউ দিঘার বি ওয়ান কিংবা এন টু সেক্টরের কিছু কিছু হোটেলে সামান্য কিছু বুকিং হয়েছে। তবে অন্যান্য হোটেলগুলি খাঁ খাঁ করছে। তবে পুজোয় পর্যটকের ঢল না নামলেও টানা ছুটিতে কালীপুজো কিংবা ভাইফোঁটায় পর্যটকদের ভিড় হতে পারে ভেবে আশায় দিন গুনছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে হোটেলগুলিতে চালু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ। প্যাকেজে থাকছে বিনামূল্যে খাবার, কাছেপিঠে গাড়িতে ঘুরিয়ে নিয়ে আসার পরিষেবা। তবে তাতেও তেমন সাড়া মিলছে না পর্যটকদের।

আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে অংশ নেবে ১৩ ক্লাব, কার্নিভাল নিয়ে বৈঠক গৌতমের

নিউ দিঘার মিনি হলিডে হোম সেক্টরের হোটেল ব্যবসায়ী প্রমতোষ ঘোড়ই জানান, ‘পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ চালু করা হলেও সেই পরিমাণে বুকিং নেই এ বছর। অন্যান্য বছর এই সময় পর্যটকে গমগম করত হোটেলগুলি।’ পর্যটক টানার জন্য মন্দারমণির একটি হোটেল ১৭ বছর ধরে দুর্গাপুজোও করে। সেখানে প্রতি বছর পর্যটকরা আমোদপ্রমোদে মেতে ওঠেন। সেই টানে মন্দারমণির ওই হোটেল ছাড়া বাকি হোটেলগুলিতে হাতেগোনা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বুকিং হয়েছে। পুজোয় সে পরিমাণে বুকিং না থাকলেও পুজোর লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামতে পারে এই আশায় আছেন হোটেল মালিকরা। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, ‘অন্যান্য বছর পর্যটকদের ভিড়ে নাওয়াখাওয়ার সুযোগ থাকে না। এবছর পর্যটক বিমুখ। কয়েকদিন আগেও দিঘাতে ভিড় ছিল পর্যটকদের। হয়ত পুজোর টানা ছুটিতে ভিড় বাড়তে পারে।’

Latest article