প্রতিবেদন : রবিবাসরীয় সকালে গ্যালিফ স্ট্রিট পোষ্যের হাট দেখতে হাজির বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। পোষ্যের হাট দেখে অভিভূত মন্ত্রী। ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ, তিনিই মন্ত্রীকে পোষ্যের হাট ঘুরে দেখান। গাছ, পাখি, পোষ্য প্রাণী থেকে শুরু করে এত বিপুল বৈচিত্রময় সমাহার দেখে প্রশংসা করেন বনমন্ত্রী। নানা ধরনের পাখির সমাহারে উচ্ছ্বসিত বনমন্ত্রী। পাশাপাশি অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য রাখা দুষ্প্রাপ্য মাছের সম্ভারও খুঁটিয়ে দেখেন তিনি। ছুটির সকালে যথেষ্ট ভিড় ছিল হাটে। মন্ত্রীকে পেয়ে সকলেই খুব খুশি। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, এখানে যা যা পাওয়া যায় সবটাই বৈধ। প্রায় পাঁচ লক্ষের বেশি পরিবার এই অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য, প্রতি শনি এবং রবিবার পোষ্যের হাট বসে। কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হয়। এখান থেকেই প্রিয় পোষ্যকে বাড়ি নিয়ে যান তাঁরা। এই হাটে শুধু যে পোষ্য প্রাণীর দেখা মেলে তাই নয়, নানা প্রজাতির গাছ পাওয়া যায়। মন্ত্রীকে সেই সব কিছুই ঘুরিয়ে দেখান কুণাল। বীরবাহা হাঁসদা বলেন, তিনি বন দফতরের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পশু-পাখিদের নিজের পরিবারের সদস্য বলেই মনে করেন। ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে পুজোর আগে শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে যে বস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তারও প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, এটাই বাঙলির ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এভাবেই সকলকে নিয়ে চলতে ভালবাসেন। কুণাল বলেন, কলকাতা তথা এশিয়ার বৃহত্তম এই হাট আমাদের গর্ব। হাটে যে রঙিন মাছ বিক্রি হচ্ছে সেটা চাষ হচ্ছে বাংলার গ্রামে। ফলে এখানে যত বেশি মানুষের অংশগ্রহণ বাড়বে ততই রাজ্যের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। এদিন হাট ঘুরে দেখার পর পোষার জন্য একটি কুকুর ছানা কেনেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সেই সঙ্গে সকলকে পোষ্যদের যত্নের পরামর্শ দেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর বাপি ঘোষও।
আরও পড়ুন : বাংলায় কিছু হলেই হইচই, অন্য রাজ্যে ঘটলে মুখে লিউকোপ্লাস্ট!