প্রতিবেদন : উৎসব জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে উপাচার্যকেই। রাজ্যপাল তাঁকে জোর করে চাপিয়ে দিয়েছেন। আর উৎসবটা যে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি, তা দেখতে চাইলে কোনও পুজো মণ্ডপে গেলেই দেখতে পাবেন। চাইলে পুজোর পাস পাঠিয়ে দিতে পারি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তৃণমূল সাফ জানিয়ে দেয়, প্রতিবাদ প্রতিবাদের জায়গায়। উৎসব উৎসবের জায়গায়। পুজোকে কেন্দ্র করে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ-শিল্পীদের বঞ্চিত করার অধিকার কারও নেই।
আরও পড়ুন-পুজোর আগমনী বিক্রম ঘোষের সুরে
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কলকাতা বিশ্ববিদ্য্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, এটা কীসের উৎসব! এই উৎসব তো জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রত্যুত্তরে রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, জোর করে ওনাকে চাপিয়ে দিয়েছেন মহামান্য রাজ্যপাল। উনি আবার উৎসব চাপিয়ে দেওয়ার কথা কী বলছেন। জোর করে ওনাকে চেয়ারে বসানো হয়েছে, সেই চেয়ারটাও কতদিন থাকবে, তার ঠিক নেই। কুণালের সাফ কথা, বাংলার পুজোকে অপমান করার কোনও অধিকার উপাচার্যের নেই। প্রতিবাদ প্রতিবাদের জায়গায় থাকবে, উৎসব উৎসবের জায়গায়। ৭০ হাজার কোটি টাকার অর্থনীতির উৎসব। যার সঙ্গে গরিব সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ, শিল্পীরা জড়িত। তাদের বঞ্চিত করার কোনও অধিকার আমাদের কারও নেই। আমার মনে হয়, উপাচার্য আপনি যদি টাইম দেন, তাহলে আমি পাস পাঠিয়ে দিতে পারি ভালো পুজোর। সেখানে গেলে দেখতে পাবেন ভিড়টা কী!