প্রতিবেদন: রাজনৈতিক সমীকরণ যা-ই হোক না কেন,ভূস্বর্গে যে ক্ষমতায় আসছে ইন্ডিয়া জোটই, তা নিয়ে গভীর আত্মবিশ্বাসী ন্যাশনাল কনফারেন্স সুপ্রিমো রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। সেইসঙ্গে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিলেন, পরিস্থিতি যেদিকেই যাক না কেন সরকার গড়তে কোনওভাবেই বিজেপির সাহায্য নেবেন না তাঁরা। বরং প্রয়োজন না থাকলেও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে সঙ্গে নিতে রাজি তিনি।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে এবার সমাজকল্যাণ প্রকল্পেও ব্যাপক দুর্নীতি
মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীর এবং হরিয়ানায় বিধানসভার ভোটগণনা। বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, দুটি রাজ্যেরই বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনী লড়াইতে নেমেছে ফারুক আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স। কিন্তু জল্পনা ছড়ায় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ইন্ডিয়া ব্লকের বাইরে কোনও দলের সঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী জোট গড়তে পারে ন্যাশনাল কনফারেন্স। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন ফারুক আবদুল্লা নিজেই। বলেছেন, আমি স্পষ্ট করতে চাই যে বিজেপির সঙ্গে আমরা যেতে পারি না। কারণ, আমরা যে ভোট পেয়েছি তা বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপি যদি মনে করে যে তারাই সরকার গঠন করবে, তবে তারা কল্পনার জগতে বাস করছে। ফারুকের হুঁশিয়ারি, যে বিজেপির পাশে দাঁড়াবে,সে-ই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এদিকে জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গঠনের প্রশ্নে ৫ বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। এই ৫ জন কিন্তু বিধানসভায় নির্বাচিত সদস্য নন।মনোনীত সদস্য। লেফটেন্যান্ট গভর্নর তাঁদের বিধানসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছেন।
আরও পড়ুন-চাইলে পুজোর পাস পাঠিয়ে দিতে পারি, উপাচার্যকে জবাব তৃণমূলের
স্বাভাবিকভাবেই সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তাঁদের ভোট কেন্দ্রের শাসক দল বা তাদের মদতপুষ্ট জোটের পক্ষে পড়ার সম্ভাবনা। বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন বিধানসভা গঠনের আগে ওই ৫ জনকে মনোনীত করা শুধু অনৈতিক নয়, গণতন্ত্রের উপর একটা বড় আঘাত।