প্রতিবেদন : কল্যাণী এইমসে (AIIMS) ময়নাতদন্ত করার মতো কোনও পরিকাঠামোই নেই! তাহলে এমন কেন্দ্রীয় হাসপাতাল করে লাভ কী? জয়নগর-কাণ্ডে এইমসের পরিকাঠামো নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। একইসঙ্গে তিনি অভিযুক্তকেও আইনজীবী দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, কল্যাণী এইমসের (AIIMS) পরিকাঠামোগত কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে অবিলম্বে। এই মর্মে তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের তরফ থেকে যে যে ক্ষেত্রে অনুমোদন লাগবে, রাজ্য সেটা দিয়ে সাহায্য করবে বলেও তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন। রাজ্যকে নির্দেশ, এক্ষেত্রে কোনও বাধা তৈরি করা যাবে না। ২০২৫-এর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এইমসের পরিকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কেন্দ্রীয় সচিবকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, এইমস গড়ে তোলা হয়েছে কল্যাণীতে, আর মানুষ চিকিৎসার জন্য যাবে ভেলোরে? তাহলে এখানে হাসপাতাল করে কী লাভ? তিনি প্রশ্ন করেন, অপারেশন থিয়েটার আছে? কটা অপারেশন হয়েছে? শেষ পাঁচ বছর ধরে ছাত্ররা পড়াশোনা করছে। তারা এমবিবিএস পাশ করে বেরোবে কোনও ময়নাতদন্তের অভিজ্ঞতা ছাড়াই, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। এরপরই তাঁর মন্তব্য, দিল্লির মতো না হোক, অন্তত হৃষীকেশ এইমসের মতো পরিকাঠামো তৈরি হোক কল্যাণীতে। একজন নাগরিক কেন্দ্রীয় হাসপাতালের সাহায্য চেয়ে আদালতে এসেছে। আদালত নির্দেশও দিয়েছে। কিন্তু সাহায্য নিতে হচ্ছে জেএনএমের মতো প্রান্তিক সরকারি হাসপাতালের! তাহলে মানুষের কী সুরাহা হবে? এদিকে, জয়নগর নাবালিকা খুনের ঘটনায় রাজ্যকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, নিম্ন আদালতে অভিযুক্তর হয়ে আইনজীবী না দাঁড়ালে ভবিষ্যতে সমস্যা হবে। তাই আইনজীবী দিক অভিযুক্ত। রাজ্য জানিয়েছে, সেটা নিশ্চিত করব।
আরও পড়ুন- পুজোয় সন্দেশখালিতে দুঃস্থদের জন্য নতুন বস্ত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী