প্রতিবেদন : এক দশক পরে আয়োজিত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভোটে উপত্যকাবাসী খেদিয়ে দিল বিজেপিকে৷ গো-হারা হারল বিজেপি, জয়ী হল কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট৷ পাঁচ বছর আগে কাশ্মীরের জাত্যাভিমানে আঘাত করে উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছিল মোদি সরকার৷ এর দু-মাসের মধ্যেই কেড়ে নেওয়া হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের অধিকার৷ সুযোগ পেয়ে তার যোগ্য প্রতিবাদ করে উপত্যকা থেকে গেরুয়া শিবিরকে মুছে ফেললেন জম্মু-কাশ্মীরের অধিবাসীরা৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৪৯টিতে জয়ী হতে চলেছে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট৷ বিজেপি এগিয়ে আছে ২৮টি আসনে৷ কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট কাশ্মীরে ক্ষমতা দখল করলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ৷ এদিনের ভোটের ফলাফলকে কাশ্মীরের জনতার জয় বলেই অভিহিত করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুখ আবদুল্লাহ৷ অদূর ভবিষ্যতে কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরাবেন তাঁরা, মঙ্গলবার দাবি জানিয়েছেন ফারুখ ও ওমর আবদুল্লাহ দুজনেই৷
আরও পড়ুন- খয়রাশোলে চেক বিলি প্রশাসনের, মৃতদের পরিবারের পাশে সরকার
উপত্যকায় বিজেপিকে পযুর্দস্ত করলেও দিল্লি-লাগোয়া জাঠ রাজ্য হরিয়ানায় অন্য ছবি দেখা গিয়েছে৷ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে হরিয়ানায় ক্ষমতা দখল করতে ব্যর্থ হল কংগ্রেস৷ ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে হরিয়ানায় ৩১টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস৷ এবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস জিততে পারে ৩৬টি আসনে, বিজেপি জয় পেতে পারে ৪৯টি আসনে৷ কুমারী শৈলজা বনাম ভূপেন্দ্র সিং হুডার দশক-পুরোনো দ্বন্দ্ব দূর করতে না পারলে কংগ্রেসের ভরাডুবি হতে পারে, হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের আগে এই আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই৷ সেই আশঙ্কাই মিলে গেল হুবহু৷ কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগে হরিয়ানায় আবার সরকার গড়ার সুযোগ পেতে চলেছে বিজেপি৷ অথচ বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা এবং বুথ-ফেরত সব সমীক্ষায় দাবি জানানো হয়েছিল যে হরিয়ানার ভরাডুবি হবে বিজেপির৷ তারপরেও বিজেপি যেভাবে জাঠ-অধ্যুষিত রাজ্য হরিয়ানায় পরপর তিনবার ক্ষমতা দখল করল, তা দেখার পরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেরই অভিমত, হরিয়ানায় বিজেপিকে জিততে পরোক্ষে সাহায্য করেছে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ রাজ্যে কংগ্রেসের সান্ত্বনা পুরস্কার কুস্তিগির অলিম্পিয়ান বিনেশ ফোগত৷ প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে নেমে জুলেনা কেন্দ্র থেকে ৬০০০-এর বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন বিনেশ৷ নয়াদিল্লি থেকে ফোনে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷