প্রতিবেদন : কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলির নিরাপত্তা পরিকাঠামো ঢেলে সাজাচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার ফের একবার বৈঠকে বসলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও তিনটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকেও নবান্নে তলব করা হয়েছিল। বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পুজোয় রোগী পরিষেবায় যেন কোনও খামতি না হয়।
আরও পড়ুন-জনস্রোতে উৎসবের জনকল্লোল
নিরাপত্তা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাজকর্মের অগ্রগতি নিয়েই মূলত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সঞ্জয় রাইকে ধর্ষক ও খুনি হিসেবে সিবিআই চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেও অরাজকতা তৈরির জন্য ধর্মতলায় অনশন ও মিছিলের নাটক করা হচ্ছে। তাতে ইন্ধন দিচ্ছেন কিছু সিনিয়র ডাক্তার। রোগী পরিষেবা ব্যাহত করে গণ-ইস্তফাও কাম্য নয়। এও অরাজকতার আরও এক নজির। স্পষ্ট জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। পুজো ও বন্যার পরিস্থিতিতে এই ধরনের কর্মসূচি, সেইসঙ্গে আরজি করে ৫০ জন ডাক্তারের গণ-ইস্তফা কেন? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, সিবিআই তদন্ত করছে। তারা চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানে কলকাতা পুলিশের তদন্তই মান্যতা পেয়েছে। এরপরেও শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য এ-ধরনের কাজকর্ম করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে এতে তীব্রভাবে রোগী হয়রানি বাড়বে। সরকার সংবেদনশীল। জ্যোতি বসুর মতো লাঠি দিয়ে মেরে তুলে দেয়নি। কিন্তু সৌজন্যকে দুর্বলতা ভেবে ভুল করছেন ডাক্তাররা। প্রসঙ্গত, সোমবারই নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন, ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়েই দেখছে সরকার।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভির কাজ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া ওয়াশরুম সংক্রান্ত ৬৫ শতাংশ কাজ এগিয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি এও বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে পাইলট প্রোজেক্টের কাজ শুরু হবে। সব ঠিক হলে প্যানিক বাটন-এর কাজ শুরু হবে পয়লা নভেম্বর থেকে। এমত পরিস্থিতিতে অনশন প্রত্যাহার করে নিতেও চিকিত্সকদের অনুরোধ করা হয়েছে সরকারের তরফে।