প্রতিবেদন : মহাষষ্ঠীর দিন কলকাতায় জনপ্লাবন। উত্তর থেকে দক্ষিণ মণ্ডপে-মণ্ডপে উপচে পড়ছে ভিড়। এর মধ্যেই ধর্মতলার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থান-মিছিল করে নিত্য যান-জট তৈরি করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তিতিবিরক্ত আমজনতা। এরই মধ্যে নয়া আবদার জুড়লেন তাঁরা। এঁদের দাবি, ম্যাটাডরে করে বিভিন্ন মণ্ডপ পরিক্রমা করবেন বিচারের দাবিতে। যাতে এই ভরা পুজোর মরশুমে ক্যামেরার সামনে নিজেদের প্রাসঙ্গিক রাখা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন তৈরি করতে চাওয়া এই জটিলতায় অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের গায়ে হাত দিতেও ছাড়লেন না জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। পুলিশকর্মীরা তাঁদের কর্তব্য পালন করছিলেন। কোনও রকম প্ররোচনায় পা দেননি। দেখা গেল, ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে এক মহিলা পুলিশকর্মীর হাত কার্যত মুচড়ে দিলেন এক জুনিয়র ডাক্তার। যন্ত্রণায় কেঁদে ফেললেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। তাতেও রক্ষে হল না। ধস্তাধস্তি চলতেই থাকল। মাথা ঠান্ডা রেখে ডি পি সিং-সহ পুলিশের বড় কর্তারা জুনিয়র ডাক্তারদের বোঝাতে থাকেন, মহাষষ্ঠীর এই ভিড়ে এই জাতীয় কর্মকাণ্ডে জটিলতা তৈরি হতে পারে। মানুষের অসুবিধা হতে পারে। আপনারা এটা করবেন না। তাতেও কাজ হয়নি। পুলিশের সঙ্গে বচসা ও নানা নাটক চলতেই থাকে। কিন্তু কেন এসব করা হচ্ছে? সিবিআই তদন্তের দাবি ছিল তাঁদের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই তদন্ত চলছে। চার্জশিটও জমা পড়েছে প্রথম দফায়। রাজ্য সরকার হাসপাতাল-নিরাপত্তায় একাধিক বৈঠক করেছে। অতিরিক্ত সিসি টিভি-সহ নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা দ্রুত মিটছে। এরপরও কেন পরিক্রমা, অবস্থান, মিছিল, অনশন? একদল সিনিয়র ডাক্তার জুনিয়রদের এই খামখেয়ালিপনায় ক্রমাগত ইন্ধন দিয়ে চলেছেন। এই অরাজকতা কতদিন চলবে? সরকার সৌজন্য দেখাচ্ছে, ধৈর্য রাখছে। কিন্তু অরাজকতা আর কতদিন চলবে?
আরও পড়ুন- দেশে নারী-সুরক্ষায় এগিয়ে বাংলা