বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া অনুদানে হাসি ফুটল বন্ধ চা-বাগান শ্রমিকদের মুখে। তাঁরাও মেতে উঠলেন পুজোয়। বামেদের উস্কানি, বোনাস সহ নানান সমস্যায় বাগান না খোলায় শ্রমিকদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজো অনুদানের ৮৫ হাজার টাকায় জেলার প্রতিটি বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকরা আগামীদিনে ভালো কিছু খবরের আশায় মায়ের আরাধনায় শামিল হয়েছে। রাজ্য সরকার দূর্গা পুজোর জন্য ৮৫ হাজার টাকা দেওয়ায় বন্ধ বাগানের শ্রমিকরা যথেষ্ট খুশি। সেই খুশিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছে শ্রমিকরা। এই মুহূর্তে জেলার নয়টি বন্ধ বাগানের মধ্যে একটি মাদারিহাটের বন্ধ ঢেকলাপাড়া। ঢেকলাপাড়া চা-বাগানের দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য রবি কুমার বলেন, দীর্ঘদিন বাগান বন্ধ থাকায় আমাদের প্রাত্যহিক জীবন যাপন মুশকিল হয়ে পড়ছে, পুজো যে করবো চাঁদা কে দেবে। রাজ্য সরকার অনুদান না দিলে এবছর আমাদের পক্ষে বাগানে পুজো করা সম্ভব ছিল না। তার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। রাজ্য সরকার দ্রুত বাগান খোলার ব্যবস্থা করবে আমরা এখন এই আশায় আছি। বন্ধ কালচিনি বাগানের দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য তথা শ্রমিক নেতা ওম লোহার বলেন, জেলায় বেশ কয়েকটি বাগান বন্ধ। শ্রমিকদের পক্ষে চাঁদা তুলে বাগানে পুজো করা সম্ভব নয়। তবে রাজ্য সরকার অনুদান দেওয়ায় পুজোর আয়োজন হচ্ছে তোর্সা, দলসিং পাড়া-সহ সব বন্ধ বাগানে। চা শ্রমিক সংগঠনগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রত্যেকটি বন্ধ বাগানই মায়ের পুজো করার জন্য রাজ্য থেকে অনুদানের টাকা পেয়েছে। তৃণমূল চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র বঁড়া ওড়াঁও বলেন, বাগান বন্ধ থাকলেও তার জন্য তো মায়ের পুজো বন্ধ থাকতে পারে না। তার জন্যই আমাদের সরকার বন্ধ বাগানে পুজো করার জন্য টাকা দিয়েছে। শুধু তাই নয়। রাজ্য সরকার বন্ধ বাগানগুলি খুলতেও তৎপর হয়েছে। আশা করছি পুজোর পরে বেশ কয়েকটি বাগান খুলবে।
আরও পড়ুন: টাটা ট্রাস্টের নতুন চেয়ারম্যান নোয়েল