প্রতিবেদন : ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজোমণ্ডপে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টায় বুধবার গ্রেফতার হয়েছিল ৯ ছদ্মবেশী ডাক্তার। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট কড়া শর্তে ধৃতদের জামিন দিয়েছে শুক্রবারই। তবে উচ্চ আদালতের এই নির্দেশের পরও মরিয়া হয়ে ফের বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চলছে। পুজো শেষ। এখন সামনে কার্নিভাল। আশঙ্কা তার আগেও শহরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে।
আরও পড়ুন-গণ-ইস্তফা গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়, অবস্থান স্পষ্ট করে দিল রাজ্য
মণ্ডপে উৎপাতের কারণে নয় ছদ্মবেশী ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জামিনকে রক্ত গরম করা ‘ব্রেকিং নিউজ’ হিসেবে প্রচার করছে মিডিয়ার একাংশ। কিন্তু হাইকোর্ট ঠিক কোন শর্তে তাদের জামিন দিয়েছে, সেটা প্রচার করছে না কেউ! মিডিয়ার একাংশের এই একচোখামির তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, জামিন নিয়ে ব্রেকিং, এক্সক্লুসিভ, বিস্ফোরক, নাটকীয়… এসব দেখাচ্ছেন ভাল কথা। কিন্তু জামিনের আসল শর্ত, পুজোমণ্ডপে ঢুকে বিক্ষোভ করা যাবে না আর কার্নিভালে বিঘ্ন ঘটানো যাবে না; এটা দেখাতে কি বুকে ব্যথা করছে? প্রাক্তন সাংসদ এক্স হ্যান্ডেলে আরও লিখেছেন, ‘বিচারের দাবিতে স্লোগান দিয়ে গ্রেফতার’ ন্যারেটিভটাও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পুজোমণ্ডপে বিশৃঙ্খলা করে গ্রেফতার, এটাই বিষয়। তিনি আরও লেখেন অনশনকারী ছেলেমেয়েদের কাঁধে বন্দুক রেখে কিছু শকুন নিজস্ব রাজনীতি করছে। কেউ নেতা সাজছে, কেউ সিনেমায় রোল খুঁজছে, কোনও দল শূন্য থেকে বেরনোর সুযোগ চাইছে, কোনও সংগঠন বিশৃঙ্খলা চাইছে, কিছু মিডিয়া টিআরপির দৌড়ে। তাঁর কথায়, আরজি করের ঘটনা কুৎসিত। উদ্বেগ, আবেগ স্বাভাবিক। কিন্তু, যখন গ্রেফতারি ও অন্যান্য প্রক্রিয়া চলছে, তখন নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের প্ররোচনায় অনশন অবাঞ্ছিত। ছেলেমেয়েগুলোকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্ররোচকরা চাইছে ওরা অসুস্থ হোক, নানারকম দৃশ্যের অবতারণা হোক, যাতে লোক খ্যাপানোর নাটক করা যায়। তাই, আবার অনুরোধ, অনশন তোলা হোক। সবাই সুস্থ থাকুক।