প্রতিবেদন : এ-যেন শেষ হইয়াও হইল না শেষ! দশমীর রাতেও শোনা গেল নবমীনিশির মায়াবী সুর। তিথি অনুযায়ী, শনিবারই বেজে গিয়েছে বিজয়া দশমীর ঘণ্টা। রীতি মেনে মণ্ডপে-মণ্ডপে দেবীবরণও সারা। এমনকী বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী বনেদিবাড়ির পুজোগুলির বিসর্জনও সম্পন্ন। কিন্তু তাতে কি আর বাঙালিকে উৎসব থেকে দূরে রাখা যায়? পঞ্জিকার নিয়মকে তোয়াক্কা না করে শহর থেকে জেলায় শনিবাসরীয় রাতকে কার্যত নবমীনিশি হিসেবেই পালন করল আমবাঙালি। দশমী পুজো ও দর্পণ বিসর্জনের পরও মণ্ডপ পরিদর্শনে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান শহর কলকাতার রাজপথে। উত্তর থেকে দক্ষিণের পুজো প্যান্ডেলগুলিতে এদিন রাতেও তিলধারণের জায়গা নেই। বাকি থেকে যাওয়া প্যান্ডেলগুলি লিস্ট মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে দেখে নেওয়া আর কী!
আরও পড়ুন-মোদির সবকা বিকাশের বেলুন ফুটো, লজ্জা! ক্ষুধাসূচকে পড়শিদের নিচে ভারত
দুপুর থেকেই কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার নামকরা প্যান্ডেলগুলিতে তাই জনতার ঢল নেমেছে। ভিড় জমেছে শহরের বিভিন্ন নামী রেস্তোরাঁগুলিতেও। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঠাকুর দেখার পাশাপাশি চলছে দেদার পেটপুজোও। শেষ মুহূর্তেও চারিদিকে উৎসবের আবহে মাতোয়ারা বাঙালি। শহর থেকে শহরতলি, মফস্বল থেকে গ্রামগঞ্জ, মানুষের মধ্যে কাজ করছে অদ্ভুত এক উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের অনাবিল আনন্দ। ঘুম নেই, ক্লান্তি নেই। বাঙালি শুধুই ছুটে চলেছে এই মণ্ডপ থেকে ওই মণ্ডপে। শারদোৎসবের সবটুকু আনন্দ চেটেপুটে নেওয়াটাই এখন মূল উদ্দেশ্য!