ড্রোনে উড়ল হনুমান, শততম বর্ষে রাবণ-দহন হল রিমোটে

কয়েক লক্ষ লোক এই অনুষ্ঠান দেখতে উপস্থিত হন। এই রাবণদহনে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে শুভশক্তি উদয় হয়, এমনটাই পুরাকাল থেকে প্রচলিত।

Must read

সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর : দুর্গাপুজোর শেষে দশমীতে হয় দশহরা। দশহরা উপলক্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরে ঐতিহ্যবাহী রাবণদহন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল শনিবার রাতে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত প্রযুক্তকে কাজে লাগিয়ে একেবারে ড্রোনে চেপে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রাবণবধ করা হল। ড্রোনে চেপে উড়ল হনুমান। রাবণের পাশাপাশি পুত্র মেঘনাদ এবং ভাই কুম্ভকর্ণকেও বধ করে পোড়ানো হয়। এ বছর ১০০তম বর্ষে পড়ল শহরের ঐতিহ্যবাহী রাবণদহন অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন-শত অপপ্রচারেও অদমিত বাংলার উৎসবপ্রাণতা

কয়েক লক্ষ লোক এই অনুষ্ঠান দেখতে উপস্থিত হন। এই রাবণদহনে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে শুভশক্তি উদয় হয়, এমনটাই পুরাকাল থেকে প্রচলিত। সেই রীতিনীতি মেনেই আজও বিজয়া দশমীর দিন রাবণদহন অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি বিশাল এক আতশবাজির প্রদর্শনীও হয় এদিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক এবং পুলিশের শীর্ষকর্তারা। সন্ধ্যায় শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের আতশবাজির প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী। দুই থেকে তিন ঘণ্টার আতশবাজি প্রদর্শনী মানুষকে মুগ্ধ করে। প্রদর্শনের শেষে রিমোট কন্ট্রোলে ড্রোনের সাহায্যে হনুমানকে আকাশে উড়িয়ে রাবণবধ করা হয়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির আগমনে শুরু হয় মানুষের নতুন পথ চলা।

Latest article