কৃষ্ণনগরকাণ্ডে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পরিবারের, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গ্রেফতার যুবক

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সঞ্জয় কুমার এই মর্মে জানান, দেহটি শনাক্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া গিয়েছে।

Must read

১২ ঘন্টাও হয় নি, কৃষ্ণনগরকাণ্ডে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক। আজ, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর পুলিশ (Krishnanagar) জেলার অফিসের সামনেই এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা দেহটি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ শনাক্তকরণের কাজ শুরু করে। তরুণীর মুখ পুড়ে যাওয়ায় পুলিশকে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পরে জানতে পেরে খবর দেওয়া হয় পরিবারকে। ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি দাবি করেছে পরিবার। আপাতত কোতোয়ালি থানায় সকলের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন ওমর আব্দুল্লা, শুভেচ্ছাবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

তরুণীর পরিবার থানায় গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। তবে এই ক্ষেত্রে পরিবার পুলিশকে জানায় মেয়ের প্রেমিক তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করেছেন। জানা যাচ্ছে, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই তরুণী দিদিমা ও মাসির কাছে থাকতেন । মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ি ফেরে নি। তরুণীর মা-বাবাকে দিদিমা তখন এটি জানান। মা-বাবাও এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও তরুণীর খোঁজ পাননি। পরেরদিন অর্ধনগ্ন ও দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ। পাশের পাড়ায় একটি ছেলের সঙ্গে প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। মাঝেমধ্যে ছেলেটির বাড়িতে সে থেকেও যেত। তরুণীর দাদু বুধবার সকালে ওই তরুণের বাড়ি খোঁজ করতে যান। তরুণের কথাবার্তায় সন্দেহ হয় তাঁর।

আরও পড়ুন-ঝাড়খণ্ডে উদ্ধার বাংলার পরিযায়ী নির্মাণ শ্রমিকের দেহ

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সঞ্জয় কুমার এই মর্মে জানান, দেহটি শনাক্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বিকেলের মধ্যে সব কিছু জানানো হবে।

 

Latest article