প্রতিবেদন : কৃষ্ণনগর-কাণ্ডে (Krishnanagar Case) চূড়ান্ত তৎপরতা পুলিশের। নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর অভিযোগ দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগের তদন্তে এবার বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করল রাজ্য পুলিশ। নেওয়া হচ্ছে সিআইডি-র সাহায্যও। জানিয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্তে এবার একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টের নয়া বিচারপতি সুপারিশে সঞ্জীব খান্নার নাম!
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত রাহুল আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদের অন্যতম মুখ ছিল। তার সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একাধিক পোস্ট সামনে এসেছে। এবার সেই প্রতিবাদী ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত।
সূত্রের খবর, নির্যাতিতা নাবালিকা নাকি তাঁর প্রেমিক রাহুল বসুর থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত চাওয়া থেকেই বিবাদের জেরে এই ঘটনা কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বুধবার কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar Case) দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলেই নাবালিকার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনায় ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে দ্রুততার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে নাবালিকার প্রেমিক রাহুল বসুকে। এবার ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত সেই প্রেমিকের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট সামনে এসেছে। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে প্রতিবাদে ফেসবুক আন্দোলনে নেমেছিল ওই যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক পোস্টও করেছিল সে। এমনকী সরকার-বিরোধী পোস্ট করে বিপ্লবী সাজার চেষ্টা ছিল তাঁর। রাহুলের সেইসব বিপ্লবীমার্কা পোস্টের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে তিলোত্তমা খুনের বিচার চেয়ে রাতজেগে পথে নেমেছিল এই ছেলেটি। সে-ই এবার নিজের প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে! এদেরকে চিনে নিন। মানুষের আবেগকে বিপথে চালিত করে অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
ধর্ষণ-বিরোধী প্রতিবাদের আন্দোলনকারী নিজেই ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত! পুলিশি জেরায় ধৃত রাহুল জানিয়েছে, নাবালিকা প্রেমিকা তার থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। কয়েকদিন ধরে সেই টাকা ফেরত চাইছিল সে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, কিছুদিন আগে বাড়িতে কাউকে কিছু না বলেই ১৫ দিন বেঙ্গালুরুর এক হোটেলে কর্মরত রাহুলের কাছে গিয়ে ছিল নির্যাতিতা। বৃহস্পতিবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, আমরাই এ নিয়ে আদালতে আবেদন করি। আদালত মঞ্জুর করেছে। তবে পরিবারের তরফে করা গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।