এ দৃশ্য দেখে চোখে জল ধরে রাখা যায় না। ইজরায়েলি সেনার হানায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। এবার সেখানে শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য চোখে পড়ল। ইজরায়েলের সেনার হামলায় মৃতদের দেহ খুবলে খাচ্ছে পথকুকুরেরা। একের পর এক রকেট হামলা। এদিকে নেতানিয়াহুর সেনাদের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে শীর্ষ হামাস প্রধান ইয়া সিনওয়ারের (Yahya Sinwar)। ইসমাইল হানিয়ের পর হামাস তাঁকেই গোষ্ঠীর প্রধান করেছিল। ইজরায়েলি সেনা তাঁকে খতম করেছে বলে দাবি।
ইজরায়েল আর প্যালেস্তাইনের যুদ্ধের জেরে শেষ হয়ে যাচ্ছে গাজা। উত্তর গাজার এমার্জেন্সি সার্ভিসের প্রধান ফারেস আফানা জানিয়েছেন, ‘কুকুরেরাও খাদ্যের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে লাশ খাচ্ছে ওরা। আমাদের জন্য দেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’ প্যালেস্তাইনে সরকারি ভাবে নিহত হয়েছেন ৪২ হাজার ৪০৯ জন, যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই অসামরিক সাধারণ মানুষ। জখম হয়েছেন এক লক্ষেরও বেশি।
আরও পড়ুন: ৫ কোটি টাকা না দিলে বাবার থেকেও খারাপ পরিণতি হবে সলমনের! ফের হুমকি-বার্তা
এদিকে মনে করা হচ্ছে, হামাস প্রধান সিনওয়ার (Yahya Sinwar) যদি সত্যি মারা যায় তাহলে হামাসের কাছে তা বিরাট ধাক্কা হতে চলেছে। দক্ষিণ গাজায় রুটিন রেইড করছিল ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। তখন সিনওয়ার তাঁদের হাতে চলে আসে। খতম করা হয় তাঁকে।
অন্যদিকে সিনওয়ারের মৃত্যুর পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে এখন কে হবেন হামাস প্রধান। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ের মৃত্যুর পর তার জায়গা নিয়েছিল সিনওয়ার। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই আবার খালি হয়েছে হামাস প্রধানের পদ। সেই দায়িত্ব পাওয়ার দৌড়ে আছে একাধিক। মাহমুদ আল জাহার এবং মহম্মদ সিনওয়ার। হামাস গোষ্ঠীর শুরুর দিন থেকে যে সব নেতারা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম জাহার। হামাসের শক্তিবৃদ্ধির পিছনে এই নেতার বড় ভূমিকা রয়েছে। মহম্মদ সিনওয়ার হল মৃত ইয়া সিনওয়ারের ভাই। এই দুজন ছাড়াও আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসছে। তারা হল মৌসা মারজৌক, মহম্মদ ডেইফ, খালিল আল হায়া, খালেদ মাসাল।