প্রতিবেদন : জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে নামা সিপিএমের তথাকথিত ডাক্তার নেতাদের অতীতের একটার পর একটা কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসছে। উঠে আসছে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ। বাম আমলে মৃত ডাক্তারি পড়ুয়া সৌমিত্র বিশ্বাসের মায়ের করা অভিযোগ-সহ একাধিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে বিপ্লবী সাজা ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামী ও অরুণাভ ধরের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ রয়েছে। ১২/১১/২০০১ সালে আরজি করের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সৌমিত্র বিশ্বাসের মায়ের সই করা প্রেস রিলিজে দেখা যাচ্ছে উল্লিখিত দুই গুণধর ডাক্তারের বিরুদ্ধে ছত্রে ছত্রে অভিযোগ রয়েছে।
এমনকী পুত্রহারা হতভাগিনী মাকে এই দু’জন কীভাবে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দিয়েছিলেন, রয়েছে সেই অভিযোগও। শুধু তাই নয়, সৌমিত্রর মা সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন বাম বিধায়কদেরও। মায়ের অভিযোগ, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু একথা কিছুতেই তিনি তৎকালীন প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে পৌঁছতে পারেননি। বাধা দিয়েছিলেন সেই সময়কার এসএফআই নেতা সুবর্ণ ও অরুণাভ। এমনকী সেসময় সুবিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও কোনও সাড়া পাননি। চিৎপুর থানায় ছেলের মৃত্যুর অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কিছুই করেনি। এখানেই শেষ নয়, সৌমিত্রর মা ছেলের পোস্টমর্টেম রিপোর্টটুকুও পাননি। আক্ষেপ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে তাঁর আবেদন বারবার হারিয়ে গিয়েছে দফতর থেকে।
আরও পড়ুন-দিল্লি এইমসে যৌন নির্যাতন লুকোতে ব্যস্ত এবার বিজেপি
শুধু তাই নয়, এসইউসিআই-এর তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক প্রভাষ ঘোষ সেই সময়কার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে চিঠি লিখে এই খুনের বিচার চেয়েছিলেন। তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়িয়েছে সৌমিত্রর খুনিরা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখন তারাই রাস্তায় নেমে বিচার চাইছে! এও দেখতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে। তবে নতুন করে এই রহস্যমৃত্যুর কিনারা করতে খোলা হচ্ছে পুরনো ফাইল। কথা চলছে আইনজীবীদের সঙ্গে।
* এর সত্যতা যাচাই করেনি জাগোবাংলা।