সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল। আসন্ন সেই নির্বাচনে গদ্দার অধিকারীর জেলা থেকে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে তৎপর শাসকদল। সেই লক্ষ্যে আজ, শনিবার নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হচ্ছে দলের বিজয়া সম্মিলনী। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের উদ্যোগে। আগামী দশ দিন জেলার প্রতিটি ব্লকে ব্লকে এবং একাধিক অঞ্চলে চলবে বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচি। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির যাবতীয় চক্রান্ত, মিথ্যাচার, অপপ্রচারকে পর্যুদস্ত করে পূর্ব মেদিনীপুরে ব্যাপক জয়ের মুখ দেখে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-ছয় কেন্দ্রে প্রচার শুরু তৃণমূলের
এরপর পুরভোট ও পঞ্চায়েত ভোটেও জয়ের ধারা অব্যাহত থাকে। এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে একেবারে শূন্য করে দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল। রাজ্য তৃণমূলের নির্দেশে ইতিমধ্যে প্রতিটি ব্লকে ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজিত হচ্ছে। ব্লকের প্রতিটি সম্মিলনীতে থাকবেন তৃণমূলের একজন করে রাজ্যনেতা। জেলায় সেই কর্মসূচি নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু করতে চলেছে তৃণমূল। বিএমটি হাইস্কুলের সামনে এ জন্য গড়া হয়েছে বিশালাকার মঞ্চ। উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের রাজ্যনেতা কুণাল ঘোষ-সহ তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ব্লক স্তরের নেতারা। আগামী রবিবার তমলুক শহর তৃণমূল সালগেছিয়া সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে আয়োজন করছে বিজয়া সম্মিলনী। সেখানে থাকছেন মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র-সহ ব্লক স্তরের নেতৃত্ব। ২৬ তারিখ মহিষাদল ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকতে পারেন সাংসদ সায়নী ঘোষ বা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের উদ্যোগে চলবে বিজয়া সম্মেলনী। ব্লক স্তরে এখনও পর্যন্ত ১২টি জায়গায় বিজয়া সম্মিলনী হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও জেলার মোট ৯৬টি অঞ্চলেও হবে এই সম্মিলনী। অঞ্চল স্তরের কর্মসূচিতে থাকবেন ব্লক স্তরের নেতা বা বিধায়করা। তমলুক জেলা তৃণমূল সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘এই কর্মসূচি দিয়েই আমাদের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। প্রতিটি ব্লকেই হবে এই কর্মসূচি। তবে বন্যাবিধ্বস্ত ব্লকগুলিতে এখনও পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় জল থাকায় সেভাবে বিজয়া সম্মিলনী করা সম্ভব নয়। তবে ওই সব এলাকার মানুষ আমাদের পাশেই আছেন।’