প্রতিবেদন: বিধানসভা ভোটের মুখেই মহারাষ্ট্রে খুলে গেল বিজেপির মুখোশ। বেরিয়ে পড়ল ১০,০০০কোটি টাকার দুর্নীতি। পুনে রিংরোড প্রকল্পে এই বিশাল অঙ্কের ঘোটালা করেছে নরেন্দ্র মোদির দল- যে দল কথায় কথায় বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলিতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। তোলে গেল গেল রব। এই বিশাল অঙ্কের কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দিয়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো। সরাসরি প্রতারণার অভিযোগ এনেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র একমাস আগে এই মারাত্মক অভিযোগে তীব্র অস্বস্তিতে বিজেপি। প্রশ্ন উঠেছে, এরপরে মানুষের দরজায় ভোট চাইতে যাবে তারা কোন মুখে? কী উত্তর দেবে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের?
আরও পড়ুন-৬০ জন নিরাপত্তা-রক্ষীর ঘেরাটোপে শুটিং মেগাস্টারের
পুনে রিং রোড প্রকল্পকে ঘিরেই অভিযোগ উঠেছে এই বিরাট মাপের আর্থিক দুর্নীতির, যেখানে সরাসরি মহারাষ্ট্র বাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে বিজেপি৷ মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা এমএসআরডিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনও নির্মীয়মান প্রকল্পের জন্য একটি সংস্থাকে দু’টির বেশি বরাত দেওয়া যাবে না৷ কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংস্থার নিয়ম পরিবর্তন করে একটি সংস্থাকে চারটি বরাত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ একটি কোম্পানিকে অন্যায়ভাবে এই সুবিধে পাইয়ে বিশাল অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে বলে সরব বিরোধীরা৷ তাঁদের কথায়, বিজেপি এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের মহারাষ্ট্র সরকারের প্রত্যক্ষ মদতেই হয়েছে এই বিশাল মাপের আর্থিক দুর্নীতি৷ মহারাষ্ট্রের আমজনতার দেওয়া করের টাকা ডাকাতি করেছে বিজেপি৷ মহারাষ্ট্র সরকারকে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সংস্থা ‘ডি-কোম্পানি’-র সঙ্গে তুলনা করেছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেড়া৷ বিরোধীদের অভিযোগ, ডি কোম্পানির মতই মহারাষ্ট্রের আমজনতাকে লুটছেন মোদি-শাহ জুটি৷ সবমিলিয়ে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে অবস্থা সামাল দেওয়ার কোনও রাস্তাই খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিশাল মাপের দুর্নীতিই গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবি নিশ্চিত করবে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে।