সুদীপ্তা চট্টোপাধ্যায় শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গের পাহাড় ডুয়ার্স বরাবরই পর্যটকদের কাছে প্রিয়। পাহাড়ি নদীর তীরে নির্জনতায় মোড়া জায়গা। উত্তরবঙ্গে পর্যটকেরা এলে মূলত চা-বাগান, বনবস্তি এবং প্রত্যন্ত গ্রামের হোম স্টে-তে সময় কাটান। তবে নদীর বুকে রাত কাটানোর অ্যাডভেঞ্চারটা একেবারেই আলাদা। যাঁরা এমন পর্যটন কেন্দ্রের সন্ধানে রয়েছেন, তাঁদের জন্য কালিম্পঙের ত্রিবেণী আদর্শ। পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর পুজোর আগেই পর্যটকদের কথা ভেবে রিভার র্যাফটিং শুরু করেছে রাজ্য পর্যটন দফতর।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে যোগ বিজেপি-র ২ বুথ সভাপতির
খরস্রোতা তিস্তানদীর সামনে সাদা বালির চরে তাঁবু খাটিয়ে রাত কাটানোর বিরল অভিজ্ঞতাও উপহার দিতে চলেছে। কালিম্পঙের ত্রিবেণীতে নিস্তব্ধ পরিবেশে পাহাড় রূপের পশরা নিয়ে হাজির। পাহাড়ের গা বেয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ তিস্তা নদী নেশাতুর করে তুলবে। এছাড়াও রাতে তাঁবুতে থেকে বন ফায়ার এবং বারবিকিউ। কিছুটা সময় নিজের মতো করে কাটানোর অফুরন্ত সুযোগ এখানে।
এখানে পাহাড়ি দুই খরস্রোতা তিস্তা ও রঙ্গিত নদীর মিলন স্থলে একেবারে পাড়ে রাত্রি যাপন করা যাবে। ত্রিবেণীতে থাকার জায়গা বলতে তিস্তা ও রঙ্গিত নদীর পাড়ে থাকা তাঁবু। সব মিলিয়ে তিস্তার বুকে প্রায় দুশোটি তাঁবু রয়েছে। খরচ বলতে তাঁবুতে থাকার জন্য মাথাপিছু প্রতিদিন দেড় থেকে ২ হাজার টাকা। নদীর বুকে রাত কাটানোর অ্যাডভেঞ্চারটা একেবারেই আলাদা। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় তাঁদের জন্য কালিম্পঙের ত্রিবেণী আদর্শ জায়গা।