প্রতিবেদন : কোনওভাবেই মানা হবে না মোদি সরকারের ষড়যন্ত্র, বিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি, সারা দেশের মধ্যে সবার আগে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাধারণ মানুষের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামার হুমকিও দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠিও লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মেনেই বিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করল মন্ত্রিগোষ্ঠী৷ শনিবার নয়াদিল্লিতে জিএসটি সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে৷ সরকারি সূত্রের দাবি, মন্ত্রিগোষ্ঠীর এই সিদ্ধান্ত সুপারিশের আকারে পেশ করা হবে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে৷ তারপরেই এই বিষয় নিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক৷
আমজনতার স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে পরিচালিত তাঁর লড়াই সফল হওয়ার পরে জনতাকেই এই সাফল্য উৎসর্গ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শনিবার মন্ত্রিগোষ্ঠীর সুপারিশের খবর সামনে আসার পরেই ট্যুইটে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা লভ্যাংশ প্রদান করছে বলে মনে হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার অবশেষে আমাদের ক্রমবর্ধমান চাপের কাছে নতিস্বীকার করছে বলে আভাস মিলেছে, যেখানে বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে ১৮ শতাংশ অন্যায্য জিএসটি প্রত্যাহারের দিকে এগোনো হচ্ছে৷
আরও পড়ুন-রবিবারের গল্প: জন্মদিন
এই প্রসঙ্গে তিনি যে চিঠিটি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে, তার প্রতিলিপি উদ্ধৃত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি নিজে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি লিখে তাঁকে সতর্ক করেছিলাম যে বিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপরে বসানো তাঁদের ১৮ শতাংশ জিএসটির সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষকে বিমার কভারেজের সুরক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে দেবে৷ এই পরিস্থিতিতে জিএসটি কাউন্সিলের মন্ত্রিগোষ্ঠীর দ্বারা ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্তর খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ৷ যদিও এই সিদ্ধান্ত সদিচ্ছাপ্রসূত নয়৷ আমাদের তরফ থেকে লাগাতার চাপ দেওয়া হয়েছে বলে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ যে জনবিরোধী নীতি সাধারণ মানুষের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করবে, তার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন আমাদের নেতারা৷ আমাদের সাংসদরা লড়াই করছেন৷ আমাদের অর্থমন্ত্রী আজ মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে দারুণ লড়াই করেছেন৷ জিএসটি কাউন্সিল যদি এই ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে তা সারা দেশের লক্ষ লক্ষ পরিবারের জন্য অত্যম্ত প্রয়োজনীয় স্বস্তি নিয়ে আসবে৷ আমরা প্রতিটি সিদ্ধান্তে জনগণের স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ এই ক্ষেত্রে আমরা জিএসটি কাউন্সিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার জন্য উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করব৷ আমরা জনতার প্রহরী হিসেবেই থাকছি৷