প্রতিবেদন : কথা ছিল ৪৫ মিনিট বৈঠক হবে। সেই বৈঠক গড়াল দু’ঘণ্টারও বেশি! অভিভাবকের মতো জুনিয়র ডাক্তারদের সব দাবিদাওয়া মন দিয়ে শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার নবান্ন সভাঘরের এই বৈঠক নজির হয়ে থাকল— প্রশাসক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) কতখানি সদিচ্ছা ও গুরুত্ব সহকারে একদল আন্দোলনকারী ডাক্তারদের সঙ্গে এতখানি সময় দিয়ে কথা বললেন। বেশিরভাগ দাবি আগেও মেনেছিলেন এবারও মানলেন। বাম জমানার সঙ্গে তফাতটা সুস্পষ্ট। টাস্কফোর্সের ভূমিকা, কলেজ লেভে মনিটরিং কমিটি, ছাত্র নির্বাচন-সহ একাধিক বিষয়ে ডাক্তার ফ্রন্টের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে জানাতে ভুললেন না যেভাবে সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের আইনজীবী এ-রাজ্যের হাসপাতালে শুধু তুলো ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না বলে সর্বসমক্ষে বাংলাকে হেয় করেছেন তা অনুচিত। একথা যে ঠিক নয় তা মানতে বাধ্য হলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরাও বললেন, এটা ঠিক নয়। ডাক্তার ফ্রন্টের একাধিক দাবির প্রেক্ষিতে একেবারে নথি তুলে মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়ে দিলেন কীভাবে কর্মবিরতিতে থেকেও ৫৬৩ জন ডাক্তার প্রাইভেট প্র্যাকটিশ করেছেন। লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করেছেন। অথচ রাজ্য সরকারের একদিনে বাড়তি খরচ হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে ৪৭ জনকে থ্রেট কালচারের নাম দিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেটা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়নি। এটা ঠিক নয়। তিনি বলেন, এ-রাজ্যে সুস্থ ও সামাজিক পরিবেশ হাসপাতালে দিতে হবে। কিন্তু যেভাবে হস্টেলের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। থ্রেট কালচারের নামে যাকে খুশি দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে— এগুলিও ঠিক হয়নি। রাজ্য সরকার হাসপাতালের নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে, করবেও। তিনি বলেন, অনেক ডাক্তার বাইরে থেকে এরাজ্যে আসতে চাইছেন। আমি এখনও অনুমতি দিইনি। তবে আপনারা অনশন তুলুন। কাজে ফিরুন। পরিষেবা দিন। রাজ্য সরকার যেটুকু করার নিশ্চিতভাবে করবে।
আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমে শাকসবজির দামে রাশ টানল রাজ্য! বাজারে হানা টাস্ক ফোর্সের